Monday, November 8, 2010

ঠোঁট, চুল ও ত্বক

0 comments
ত্বকের কাজ শুধু শরীরের হাড়, মাংসকে আগলে রাখাই নয়; মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাও। তাই ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া আবশ্যক। অন্যদিকে চুলের কাজও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। তবে অযত্ন অবহেলায়, অসময়েই চুলে পাক ধরতে পারে অথবা চুল ঝরে যেতে পারে। পাশাপাশি এই উৎসবে আপনার ঠোঁটে চাই বাড়তি যত্ন। আসুন জেনে নিই সেই যত্নের ব্যাকরণ।

ত্বকের যত্ন

ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি যে বিষয়টি তা হলো নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা। সে জন্যে নির্দিষ্ট একটা বিরতি দিয়ে দিয়ে মুখ ধুতে হবে। বিশেষ করে যখন বোঝা যাবে ত্বকে কোনো ময়লা লেগেছে তখন অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে। আর এ ধোয়া যেন শুধু পানি দিয়ে ধোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। ধুতে হবে ফেসওয়াশ দিয়ে। বিশেষ করে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া আবশ্যক। বিজ্ঞাপনে কোনো সাবানকে যত ভালোই বলা হোক না কেন, এছাড়া সাবানটি এমনিতে যত নরম কোমলই হোক না কেন, তাতে ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর অনেক উপাদান থাকে। ফলে নিয়মিত সাবান ব্যবহারের কারণে মুখের ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। তাই মুখের ত্বকে খুব বেশি সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। সাবানের পরিবর্তে ফেসওয়াশ ব্যবহার করলেও, ফেসওয়াশটি আসলেই মানসম্পন্ন কিনা যাচাই করে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন যেকোন স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে সেটি আরেক সমস্যা। তাই খেয়াল রাখুন ত্বকে যাতে তেল না জমে। মনে রাখবেন, ত্বকে তেল জমলে সেখানে সহজেই ময়লা লেগে যায়। তখন পুরো মুখ ভরে যায় ব্রণে। তবে যাদের ত্বক এমনিতেই তৈলাক্ত তারা এই তেলতেলে ভাব কাটাতে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন। খেয়াল রাখবেন ত্বকে ব্যবহূত সামগ্রী যেন ভালো ব্র্যান্ডের হয়।



চুলের যত্ন

প্রতিদিন ভালোভাবে চুল ধুতে হবে। যারা বাইরে কাজ করেন তাদের চুলে বেশি ধুলোবালি লাগে। তাই তারা প্রতিদিনই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোবেন। সম্ভব হলে কন্ডিশনারও ব্যবহার করবেন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে গরম তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল চুলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাই এই তেল সারারাত চুলে লাগিয়ে রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন। এতে রাতে আপনার ভালো ঘুম হবে। তেলের সঙ্গে যেকোনো প্রোটিনসমৃদ্ধ প্যাকও লাগানো যেতে পারে। বিশেষ করে ডিম, আমলা, টকদই এসব দিয়ে তৈরি প্যাক চুলের জন্যে খুব উপকারি। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে চুল ভালোভাবে আচড়ে নিন। চুল ভেজা থাকলে সেটা ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে তবেই ঘুমুতে যান। নইলে ঠান্ডা লেগে যাবে। চুল বেশি লম্বা হলে পাতলা স্কার্ফ দিয়ে মুড়িয়ে নিতে পারেন। এতে চুল নিরাপদ থাকবে। খুশকি থেকে বাঁচতে চুল সবসময় পরিষ্কারও শুকনো রাখুন। দিনে যখন কোথাও বের হবেন, চুল বেঁধে রাখবেন। এতে চুল কম ময়লা হবে। চুল অপরিচ্ছন্ন থাকলে উকুনও হতে পারে। উকুন আবার অন্য কারো মাথা থেকেও আসতে পারে। তাই অপরিচ্ছন্ন চুলের কারো সাথে মেশার সময় সাবধান থাকতে হবে। আপনি যে বালিশে ঘুমুবেন, চুলের যত্নের কথা ভেবে হলেও সেই বালিশটি পরিষ্কার রাখবেন। কারণ অপরিচ্ছন্ন বালিশ থেকেও চুলে ধুলো ময়লা লেগে থাকে।

০০ ইকবাল খন্দকার ০০ 

0 comments:

Post a Comment