Tuesday, February 22, 2011

ছেলেদের বিউটি টিপস

0 comments
সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সৌন্দর্যের মূল কথা। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজন তো রয়েছেই, কিন্তু তার সঙ্গেও জরুরি শারীরিক সুস্থতা। কারণ সৌন্দর্য শুধু রূপচর্চার ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে রয়েছে সিজনাল চেঞ্জ, পলিউশন, মেন্টাল স্ট্রেস, দীর্ঘক্ষণ এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে থাকার মতো সমস্যা। তাই ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল কেয়ারের মধ্যে যথাযথ ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করুন। কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে আপনার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে তা জেনে নিন।?

ব্যালেন্সড ডায়েট: ত্বকের সুস্থতার জন্য ন্যাচারাল ফুড জরুরি। ন্যাচারাল ফুড মানে সবজি, ফল, অঙ্কুরিত ছোলা, দই, সিরিয়াল ত্বকের পক্ষে উপকারী। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান জরুরি। এছাড়া ফল বা সবজির রসও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য উপকারী। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবারে ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম যথাযথ পরিমাণে থাকলে ব্যয়বহুল ফেশিয়াল ট্রিটমেন্টের তেমন প্রয়োজন পড়ে না।

এক্সারসাইজ: এক্সারসাইজ রক্ত চলাচল ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকলাপে সাহায্য করে। এর ফলে স্কিন ও স্ক্যাল্পে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়। মেন্টাল ট্রেস থেকে ত্বক ও চুলে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত এক্সারসাইজ এ সমস্যার সমাধানে কাজ করে।

ঘুম ও রিল্যাক্সেশন: ডায়েট ও এক্সারসাইজের সঙ্গে জরুরি ঘুম ও রিল্যাক্সেশনের। ঘুমের সময় বডি সিস্টেম স্লো ডাউন হয়ে যায়। সেল রিনিউয়াল প্রসেস শুরু হয়।

নিজের ত্বকের ধরন বুঝে নিন: কসমেটিক ব্যবহারের আগে নিজের স্কিন টাইপ বুঝে নেওয়া সবচেয়ে প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মুখ ধোয়ার আগে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছুন। টিস্যু পরিষ্কার হলে বুঝবেন আপনার নর্মাল ও ড্রাই স্কিন। সমান্য তেলাভাব থাকলে নর্মাল ও অয়েলি স্কিন। কপাল, নাক, থুতনি মুখের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদা আলাদা টিস্যু ব্যবহার করুন। কম্বিনেশন স্কিন কি না বুঝতে সুবিধা হবে। অয়েল গ্লান্ডের ওপর আপনার ত্বক কি ধরনের তা অনেকটা নির্ভর করে। ত্বকে সেবাম অয়েলের এ ব্যালেন্স নানা কারণে ব্যাহত হতে পারে, যেমন বেশিক্ষণ রোদে থাকা, শুকনো আবহাওয়া, সাবান, ক্লোরিন যুক্ত পানির ব্যবহার, এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বেশিক্ষণ থাকা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়, অ্যাকনে বা র‌্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই ক্লিনজার, টোনার, ময়শ্চারাইজার কেনার সময় নিজের স্কিন টাইপের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যাগুলোর কথাও মনে রাখা দরকার। যেমন বেশিক্ষণ রোদে ঘুরে কাজ করতে হলে আপনার প্রয়োজন সানস্ক্রিন, পলিউশনের জন্য দরকার ভালো ক্লেনজার।

ধুলো-ময়লা, পলিউশন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন: এয়ার পলিউশনের কারণে ত্বকের ওপর টঙ্কিন জাতীয় পদার্থ জমতে শুরু করে, ফলে স্কিন সাপোর্টিভ টিস্যু ড্যামেজড হয়। প্রে-ম্যাচিউর এজিংয়ের সমস্যা শুরু হয়। এর থেকে ত্বককে সুরক্ষার জন্য জরুরি নিয়মিত ক্লিনজিং। ক্লিনজিং ক্রিম বা ক্লিনজিং মিল্ক এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন। রোদ থেকে সুরক্ষারপাশাপাশি ধুলো-ময়লা থেকে ত্বককেও রক্ষা করবে। সপ্তাহে না পারলেও মাসে অন্তত এক বার ফেসিয়াল করুন।

-খুরশীদা রহমান চৈতী

0 comments:

Post a Comment