Monday, February 21, 2011

প্রেমিকের বাসায় আত্মহত্যা কলেজ ছাত্রী অর্পার

0 comments
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা ও আরেক স্কুলছাত্রী খুন হয়েছে। সবুজবাগে বুধবার রাতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অর্পনা আক্তার অর্পা (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ তার প্রেমিকের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের প্রেমিক রুবেলকে গ্রেফতার করেছে সবুজবাগ থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ অর্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে সেগুন বাগিচায় আয়শা চৌধুরী টুম্পা (১৬) নামে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী খুন হয়েছে। বুধবার দুপুুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে টুম্পার কথিত প্রেমিক সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
সবুজবাগ থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত রুবেলের মায়ের বরাত দিয়ে জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকার এক নম্বর রোডের প্রেমিক রুবেলের বাসার যায় অর্পা। এসময় রুবেলের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে অর্পা পাশের একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে অর্পনাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে রুবেল ও তার মা নার্গিস বেগম অর্পাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত ৯টায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে পুলিশ রুবেল ও তার মাকে আটক করে সবুজবাগ থানায় নিয়ে যায়। অর্পার বড় ভাই এনাম আহমেদ জানান, অর্পার সঙ্গে রুবেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় রুবেল মোবাইল ফোনে অর্পাকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। নিহত অর্পা কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। পিতার নাম সাবি্বর হোসেন। তার বাসা ৪২, দক্ষিণ বাসাবো।
অন্যদিকে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে আয়শা চৌধুরী টুম্পা নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার রসুলবাগের ডিএমডি বেড়িবাঁধের পাশের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। নিহত টুম্পা ঢাকার রহিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মুক্তার হোসেন জানায়, গত সোমবার বিকেলে নিহত টুম্পাকে প্রেমিক সাইদুর রহমান ৬/৪ সেগুনবাগিচার বাসা থেকে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ঘুরতে নিয়ে যায়। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে টিএসিতে খাওয়া-দাওয়া করে। সঙ্গে সাইদুরের ৫ জন বন্ধুও ছিল। রাতে টুম্পা বাসায় না ফেরায় তার বাবা আমানতউল্লাহ শাহবাগ থানায় অভিযোগ করে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ টুম্পার প্রেমিক সাইদুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সাইদুর জানায়, ভালোবাসা দিবসে সাইদুর সন্ধ্যার সময় তাকে টিএসসি থেকে বাসায় ফেরার জন্য রিকশায় তুলে দেয়। এরপর আর তার খোঁজখবর জানে না। বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে টুম্পার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেগুনবাগিচা হাইস্কুল মাঠ থেকে নুরু নামের আরও এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, নুরুসহ এলাকার বখাটেরা দীর্ঘদিন ধরে টুম্পাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় গত ৬ মাস আগে টুম্পার বড় ভাই কাওসার চৌধুরীকে বখাটেরা মারধর করে। তার কয়েকদিন পর তার লাশ নরসিংদীতে পাওয়া যায়। নিহতের পিতা আমানতউল্লাহর অভিযোগ সাইদুর ও তার সহযোগীরা টুম্পাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।

0 comments:

Post a Comment