যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসে সে দেশের নাগরিকদের লাল মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতি সপ্তাহে প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিদিন ৭০ গ্রাম এবং সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি লাল কিংবা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া কমাতে হবে। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে তাঁরা এ কথা বলেন। গবেষণার ফল এ সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার কথা।
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কী পরিমাণ লাল মাংস (শুকর, গরু, ভেড়া ও ছাগলের মাংস) খেলে ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলে আসছে। এর আগে এক দল বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তির সপ্তাহে ৭০ গ্রামের বেশি লাল মাংস খাওয়া উচিত হবে না। আর শিশুদের কোনোভাবেই লবণ মাখিয়ে পোড়ানো শূকরের মাংস, পাতলা চামড়ার ভেতর মসলাযুক্ত মাংসের কিমা ভরে প্রস্তুত করা খাদ্যসামগ্রী খাওয়ানো উচিত হবে না। গত বছর ইংল্যান্ডের তৎকালীন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্যার লিয়াম ডোনাল্ডসন বলেন, সব ধরনের মাংস খাওয়া মাত্র ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিলে প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের অন্তত ১৮ হাজার নাগরিক অকালমৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে।
লাল মাংস কীভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, এ নিয়েও তর্কের শেষ নেই। বেশ কয়েকটি মতবাদ চালু আছে। একটি মতবাদ অনুযায়ী, লাল মাংসে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে, যা পরিপাক প্রক্রিয়া-সংশ্লিষ্ট কোষের ডিএনএর ক্ষতি সাধন করে। ডিএনএর ক্ষতি সাধন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। আরেক দল বিশেষজ্ঞের দাবি, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে এমন সব পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা মানুষের শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, লাল মাংস হূদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ায়। স্থূলতা অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
টেলিগ্রাফ অনলাইন।
0 comments:
Post a Comment