Saturday, February 26, 2011

ক্রপ মিউজিয়াম, গোদাগাড়ী; রাজশাহী

0 comments
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে 'ক্রপ মিউজিয়াম' নামে এক শস্য জাদুঘর। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এলাকার কৃষকদের ভাগ্য ফেরাতে গড়ে তুলেছে এই মিউজিয়াম। এখানে এলাকার চাষ উপযোগী ২০টি ফসলের ৪০টি জাতের সমারোহ ঘটিয়ে কৃষকদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে এসব ফসল চাষাবাদে। এখানে যেসব ফসল রয়েছে সেগুলো হলো_ গম, ভুট্টা, ছোলা, মসুর, সরিষা, তিসি, আলু, মুলা, ঝাড়সীম, ধনিয়া, পিঁয়াজ, মটরশুটি, বেগুন, বাটি শাক, লাল শাক, পালং শাক, টমেটো, মেথি, কালোজিরা ও কাউন। ক্রপ মিউজিয়াম স্থাপনের কারণ বলতে গিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বরেন্দ্র কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে উঁচু বরেন্দ্র এলাকার মাটির প্রকৃতি ভিন্ন। উঁচু-নিচু এসব জমি এখনো শতভাগ সেচ সুবিধার আওতায় আসেনি। ফলে সেচ ছাড়া কিংবা অল্প সেচে যেসব ফসল ফলানো যায়, ক্রপ মিউজিয়ামে সেসব ফসলের প্রদর্শনী প্লট করেছি আমরা। তিনি আরও জানান, 'ক্রপ মিউজিয়ামে এসে কৃষকরা বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত দেখে পরবর্তী বছর নিজের জমিতে তা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা বিনিময়ের ভিত্তিতে তাদের সেই জাতের বীজ সরবরাহ করি। সেই বীজ আবার পরবর্তীতে অন্য কৃষকদের সরবরাহ করি। এর ফলে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করতে কৃষকদের আর্থিক কোনো খরচ হচ্ছে না। বীজ সরবরাহের পাশাপাশি ফসল চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বৈজ্ঞানিক সহকারীরা।' ক্রপ মিউজিয়ামে বিভিন্ন জাতের ফসলের ফলন দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এলাকার কৃষক। খরা সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ফসলের ফলন দেখে তারা নিজেরাই জাত বাছাই করছে পরবর্তী বছর নিজেদের জমিতে এসব ফসল চাষাবাদের জন্য। কদমশহর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম ও কাজেম উদ্দিন জানান, তারা আগে প্রচলিত বীজ ও চাষের পদ্ধতি প্রয়োগ করে যে জমিতে বিঘাপ্রতি মসুরের ফলন পেতেন দেড় থেকে ২ মণ, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির বারি মসুর চাষ করে ফলন পাচ্ছেন ৩ থেকে ৪ মণ। একই গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম, লিটন আলী ও মনির হোসেন জানান, গম যেখানে আগে বিঘাপ্রতি হতো ৬ থেকে ৭ মণ, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির বারি গমের ফলন হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ মণ। অথচ আগের এবং বর্তমান চাষ পদ্ধতিতে খরচ হচ্ছে একই।

* শ.ম সাজু, রাজশাহী

0 comments:

Post a Comment