Friday, December 25, 2009

নারীর জরায়ুর ক্যান্সার, প্রয়োজন সচেতনতা

0 comments
রাসনা শারমিন মিথি: অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্কের কারণে নারীর জরায়ুতে ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুন। সম্প্রতি দরিদ্র দেশের নারীদের ওপর করা জরিপ প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নালে। সারা বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিচার্স অন ক্যান্সারÑএর গবেষকরা জানান, আক্রান্ত মোট রোগীর দুই-তৃতীয়াংশের অভিমত অল্প বয়স থেকে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কই এমনটার জন্য দায়ী। ২০ বছরের আগেই যারা নিয়মিত ভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত, তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকিটা বেশি। একই গবেষণা থেকে দেখা গেছে, দরিদ্র দেশের নারীরা নির্দিষ্ট বয়সের আরো চার বছর আগ থেকেই নিয়মিত ভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে।

অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্কের কারণে জরায়ু এইচ পি ভি (হিউম্যান পিপিলোমা ভাইরাস) -তে আক্রান্ত হয়। এইচ পি ভি ভাইরাস উদ্দীপ্ত করে তোলে জরায়ুর ক্ষতকে। যা পরবর্তিতে ধাবিত হয় ক্যান্সারের দিকে। এ ইনফেকশনটা যে কোন বয়সের নারীদেরই হতে পারে। তবে প-ূর্ন যৌবনেই যাদের এ সমস্যা পোহাতে হয় তাদের আর রক্ষে নেই ক্যান্সার থেকে।

তবে আশার কথা, এইচ পি ভি র প্রতিষেধক ইনজেকশন আছে। যা স্কুল বয়সেই সব মেয়ে শিশুকে দেয়া উচিত। যাতে অবাঞ্চিত ভাবে অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্ক শুরু হলেও সে জল যেন বেশি দূর গড়াতে না পারে। ইউরোপের দেশগুলোতে এ ইনজেকশনটার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেই সবাইকে নির্দেশ দেয়া আছে। সেখানকার স্কুলগামী ১২ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদের এ ইনজেকশনটা দেওয়ার জন্য ব্যাপক ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে সে দেশের সরকার। যে সব নারীরা মাত্রাতিরিক্ত ধুমপানে আসক্ত তাদের ও এ সমস্যাটা ব্যাপক আকারে দেখা যায়। শুধু যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ২ হাজার ৯’শ নারী জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে প্রতি এক’শ জনে দুজন এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন নারী। তবে দৈহিক মিলনের সময় জš§নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করলে নারীদের এর ঝুঁকি ব্যাপক হারে কমে যায়। বহু লোকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, বহু সন্তান গর্ভধারণ, বাল্যবিবাহের কারণেও মারাত্মক ভাবে এ সমস্যায় আক্রান্ত হয় যে কোন বয়সের নারী। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা। তবেই এড়ানো যাবে এ ভয়াবহ ব্যাধি।

0 comments:

Post a Comment