Saturday, December 26, 2009

ক্রিসমাস ট্রির কথা

0 comments
ছোটবেলায় বড়দিনের কথা শুনে মনে করতাম, দিনটি বোধহয় বছরের যে কোনো দিনের চেয়ে অনেক বড়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, বড় হয়ে জেনেছি বছরের সবচেয়ে ছোট দিন ২২ ডিসেম্বর আর তার কাছাকাছি ২৫ ডিসেম্বরেই পালিত হয় খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উৎসব। অর্থাৎ ছোট দিনেই পালিত হয় বড়দিনের উৎসব। দিনটির নাম বড়দিন হলো কেন, তার কোনো ব্যাখ্যা আসলে নেই। অনেকেই মনে করেন, মহামানব যিশুর জন্মদিন বলেই এ দিনের নাম হয়েছে বড়দিন। ইংরেজিতে এই দিনের নাম ক্রিসমাস বা এক্সমাস।
বড়দিনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর রাতে। রাত ১২টার পর থেকেই গির্জাগুলোতে শুরু হয় প্রার্থনা। আর সারাদিন সবার সঙ্গে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে চলে উপহার বিনিময়।
বড়দিনের ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর প্রচলন আগের দিনে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো ছাড়া বড়দিনের উৎসব যেন কল্পনাই করা যায় না। বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এবং উপহার দেওয়ার শুরু কীভাবে হয় তার লিখিত কোনো দলিল নেই। এ নিয়ে প্রচলিত আছে বিভিন্ন কাহিনী। প্রথম কাহিনী : রোমের এক গরিব কাঠুরের ঘরে একদিন এক শীতার্ত শিশু হাজির হলো। কাঠুরে দম্পতি ছিল যিশুভক্ত। তারা শিশুটিকে আদর করে খাওয়ালেন, নরম বিছানায় শুতে দিলেন। সকালে ওই শিশু দেবদূতের রূপ ধরে বলল, 'আমিই যিশু'। তাকে আদর-আপ্যায়ন করার জন্য কাঠুরে দম্পতিকে তিনি একটি গাছের ডাল দিলেন এবং তা মাটিতে পুঁতে রাখতে বললেন। এরপর ক্রিসমাসের দিন দেখা গেল ডালটি সোনালি আপেলে ভরে গেছে। তখন তারা এ গাছের নাম দেন ক্রিসমাস ট্রি।
আরেকটি কাহিনী এ রকম : একদিন এক গরিব শিশু কিছু পাইন গাছের চারার বিনিময়ে পয়সা দেওয়ার অনুরোধ করল এক গির্জার মালিকে। মালি গাছগুলো নিয়ে গির্জার পাশে পুঁতে রাখল। ক্রিসমাসের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখল, গাছগুলো গির্জার চেয়েও বড় হয়ে গেছে এবং সেগুলো থেকে অজস্র তারার আলো ঝরে পড়ছে। মালি তখন গাছগুলোর নাম দিল ক্রিসমাস ট্রি।
একই রকম আরও একটি কাহিনীর উল্লেখ বিভিন্ন গ্রন্থে আর তা হলো : সপ্তম শতকের দিকে সেন্ট বোনিফেস নামে এক মিশনারি একটি ওক গাছ দেখতে পান। তা ছিল প্যাগান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় চিহ্নের মতো। তখন তিনি ওই গাছ কেটে ফেলেন। কিছুদিন পর দেখতে পান সেখানে একটি ফার গাছের চারা গজিয়েছে। তখন তিনি এটিকে ঈশ্বরের বার্তা হিসেবে ধরে নেন। আর সেদিন থেকেই ফার গাছ ক্রিসমাস ট্রির
মর্যাদা পায়।
হ ইবনে মজিব

0 comments:

Post a Comment