Saturday, December 26, 2009

শকুন্তলা

0 comments
বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকার কন্যা। মা মেনকা শকুন্তলার জন্মের পর তাকে মালিনী নদীরতীরে ফেলে চলে যান। পরে কণ্ব মুনি শকুন্তলাকে দেখতে পেয়ে অরণ্যেই নিজ কন্যার মতো লালন-পালন করে বড় করেন। শৈশবে নদীতীরে পাখিরা [শকুন্ত] তাকে বন্য প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করেছিল বলে তার নাম রাখা হয় শকুন্তলা। তিনি ছিলেন অপরূপা সুন্দরী। রাজা দুষ্মন্ত মৃগয়ায় এসে কণ্ব মুনির আশ্রমে শকুন্তলাকে দেখতে পান এবং তার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে করতে চান। শকুন্তলাও বিয়ে করতে রাজি হন। তবে একটি শর্ত দেন যে, তার গর্ভজাত পুত্র দুষ্মন্তের অবর্তমানে সিংহাসনে বসবেন। দুষ্মন্ত তাতে রাজি হন এবং বনের গভীরে গিয়ে গান্ধর্ব মতে বিয়ে করেন। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরে চতুরঙ্গিনী সেনা পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুষ্মন্ত নিজ প্রাসাদে ফিরে যান। কিন্তু অনেকদিন চলে যাওয়ার পরও দুষ্মন্তের পক্ষ থেকে তার কোনো খোঁজ নেওয়া হয় না। এদিকে শকুন্তলা একটি পুত্র সন্তান লাভ করেন। পুত্র একটু বড় হলে কণ্ব মুনির নির্দেশে শকুন্তলা পুত্রকে নিয়ে দুষ্মন্তের প্রাসাদে যান। কিন্তু দুষ্মন্ত তাকে না চেনার ভান করে কটু কথা বলে অপমান করেন। সেসব শুনে শকুন্তলা যখন রাগ করে চলে যাচ্ছিলেন, অন্তরীক্ষ হতে তখন দৈববাণী হলো যে, শকুন্তলা যা বলেছে, সব সত্য। দুষ্মন্তই এই সন্তানের পিতা এবং এর নাম হবে ভরত। এটা শোনামাত্র দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে গ্রহণ করেন। এই ভরতই কৌরব ও পাণ্ডবদের একজন পিতৃপুরুষ।

0 comments:

Post a Comment