Saturday, March 12, 2011

মেহেরপুর

25 comments
সবুজ ধানক্ষেত, বন-বনানী, ফলের বাগান আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিভূমি। বাংলার স্বাধীনতার সূর্য উদিত হওয়ার স্থান, স্বাধীনতার ঊষালগ্নের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ও সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুর।

আয়তন ও অবস্থান

আয়তনের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের ৬৪তম জেলা। এই জেলার মোট আয়তন ৭১৬.০৮ বর্গকিলোমিটার, যা সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের ০.৪৮%। মেহেরপুর জেলা ২৩০৪র্৪ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩০৫র্৯ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮০৩র্৪ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৮০৫র্৩র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। জেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

নামকরণের ইতিহাস

ষোড়শ শতাব্দীতে মেহের আলী নামক একজন বুজুর্গ দরবেশ মেহেরপুর শহর স্থাপন করেন বলে কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। এই দরবেশের নাম অনুসরণেই স্থানটির নাম হয়েছে মেহেরপুর। অমিত বসুর, বাংলায় ভ্রমণ গ্রন্থে উলেস্নখ আছে। মিহির ও তার স্ত্রী খনা এই শহরে বাস করতেন। মিহিরের নাম থেকে মিহিরপুর, পরবর্তীতে তা অপভ্রংশ হয়ে মেহেরপুর নামের উৎপত্তি হয়েছে।

প্রশাসনিক পটভূমি

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পূর্ব পর্যন্ত বর্তমান মেহেরপুর নদীয়া জেলার অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর মেহেরপুর মহকুমার মেহেরপুর ও গাংনী থানাদ্বয় চুয়াডাঙ্গা মহকুমার সাথে যুক্ত হয়। অতঃপর ১৯৫১ সালে মেহেরপুর ও গাংনী থানাদ্বয় নিয়ে মেহেরপুর মহকুমা পুনর্গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে মেহেরপুর পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মেহেরপুর জেলায় ৩টি উপজেলা, ১৮টি ইউনিয়ন, ২৮৪টি গ্রাম রয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে_মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর।

জনসংখ্যা

জেলার মোট জনসংখ্যা ৫,৭৯,৫৩১ জন (২০০১ সালের হিসাবে), যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ০.৪৭%, ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮০৯ জন (প্রায়)। জনসংখ্যা ৫০.৭৭% পুরুষ, ৪৯.২৩% মহিলা; ধর্মের ভিত্তিতে ৯৭.৫% মুসলিম, ১.২৮% হিন্দু, ১.২২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

নদ-নদী

প্রধান নদ-নদীগুলো হচ্ছে_ভৈরব, ইছামতি।

জলবায়ু

বার্ষিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১৪৬৭ মিমি।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

উলেস্নখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে_মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, বৈদ্যনাথতলা, বলস্নভপুর মিশন, বরকত বিবির মাজার, শেখ ফরিদের দরগাহ্, বলস্নভপুর শিবমন্দির, স্বামী নিগমান্দের আশ্রম, আমঝুপি নীলকুঠি, ভাটপাড়া নীলকুঠি, সাহার কাঠি নীলকুঠি ইত্যাদি।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ঢাকা থেকে জে আর, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স প্রভৃতি পরিবহনে মেহেরপুর যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সড়কপথে মেহেরপুরের দূরত্ব ২৯৬ কিমি।

25 comments:

Post a Comment