Wednesday, March 9, 2011

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

0 comments
সাধারণত শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীর কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে কোনো উপসর্গই দেখা দেয় না। সে জন্য যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, পাথরজনিত রোগ, প্রস্রাবে সংক্রমণ, প্রস্রাবে বাধাজনিত রোগ, বংশগত কিডনি-ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ রোগ আছে, যাদের বয়স চলি্লশের উপরে, যারা নিয়মিত বেদনানাশক ওষুধ (প্যারাসিটামল, ডাইক্লোফেনাক, কিটোরোলাক প্রভৃতি) সেবন করে, যারা ধূমপান করে, যাদের ওজন বেশি, যাদের কখনো মুখমণ্ডল ও শরীর ফুলে গেছে তাদের কমপক্ষে বছরে অন্তত ১ থেকে ২ বার রক্তের ক্রিয়েটিনিন, ইজিএফআর, প্রস্রাবে এলবুমিন, মাইক্রোএলবুমিন, রক্তের সুগার এবং নিয়মিত ব্লাডপ্রেসার চেক করালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক অবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। কিডনি রোগীরা হৃদরোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো হৃদযন্ত্র্রের ধমনীগুলোতে এক ধরনের চর্বির আস্তরণ জমা হওয়া। যাদের রক্তে অধিক কোলেস্টেরল, অধিক গ্লুকোজ, অধিক ফসফেট এবং কম হিমোগ্লোবিন ও কম ক্যালসিয়াম থাকে তাদের ধমনীতে চর্বির আস্তরণ তাড়াতাড়ি জমতে শুরু করে। সুতরাং কিডনি রোগীদের রক্তশূন্যতা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়।
কিডনি সুস্থ রাখার উপায় : ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্তের শর্করা এবং প্রস্রাবের এলবুমিন পরীক্ষা করা এবং যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের ৬ মাস পরপর কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক ও তীব্র ব্যথানাশক ওষুধ সেবন পরিহার করতে হবে।শিশুদের গলা ব্যথা, জ্বর, ত্বকে খোস-পাঁচড়ার দ্রুত চিকিৎসা করা। কারণ এগুলো থেকে কিডনি প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস রোগ দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া, বমি, রক্ত আমাশয়ের কারণে রক্ত, পানি ও লবণশূন্য হয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। তাই দ্রুত খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। প্রস্রাবের ঘন ঘন ইনফেকশনের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। বেশি করে রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে ও লবণ কম খেতে হবে। বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে এবং শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ডা. সুব্রত ঘোষ

0 comments:

Post a Comment