Friday, March 18, 2011

বটসোয়ানা

0 comments
হীরক খনির দেশ বটসোয়ানা অতীতে বেচুয়াল্যান্ড নামে পরিচিত ছিল। দেশটি 'কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বিতীয় আবাসভূমি' হিসেবে পরিচিত। বটসোয়ানার অধিকাংশ এলাকা কালাহারি মরুভূমির অন্তর্গত (৭০%)। সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত এই দেশটির আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন এবং শহরগুলো ছড়ানো ও আকর্ষণীয়।

ঐতিহাসিক পটভূমি

প্রাচীনকালে জঙ্গলবাসী মানুষের বসবাস ছিল এ অঞ্চলে। ১৯০ খ্রিস্টাব্দের দিকে বান্টুভাষী কৃষকরা দক্ষিণাঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। ১৮ শতকের মধ্যে বটসোয়ানাতে বেশ কয়েকটি রাজ্য গড়ে ওঠে। ১৯ শতকের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ধর্ম প্রচারকরা এখানে প্রবেশ করে। ১৮৬৭ সালে এখানে স্বর্ণখনি আবিষ্কারের পর এই অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের। শেষ পর্যন্ত ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশরা এখানে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। বটসোয়ানা বেচুয়ানো ল্যান্ড-এর ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এর নতুন নামকরণ করা হয় বটসোয়ালা। হীরক খনি প্রধানত এর অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

অবস্থান ও আয়তন :এটি ২২০০র্০ দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ২৪০০র্০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা, পশ্চিমে নামিবিয়া, উত্তর পূর্বে জিম্বাবুয়ে ও উত্তরে নামিবিয়া। দেশটির আয়তন প্রায় ৬,০০,৩,৭০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৪৭তম বৃহত্তম দেশ।

প্রশাসনিক ব্যবস্থা :৯টি জেলা রয়েছে।

উচ্চতম ও নিম্নতম স্থান :দেশটির উচ্চতম স্থান হচ্ছে_ওসে পর্বত, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪,৮৮৬ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং নিম্নতম স্থান হচ্ছে শাশিও লিমপাপো নদীর সঙ্গমস্থল, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১,৬৮৪ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।

জলবায়ু

অল্প বৃষ্টিপাতের দরুণ দেশটিতে আধা-শুষ্ক জলবায়ু পরিদৃষ্ট হয়। অপেক্ষাকৃত অধিক উচ্চতায় উপক্রান্তীয় জলবায়ু দেখা যায়। গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ২৬০ সেলসিয়াস। শুষ্ক ঋতুতে দেশটিতে ব্যাপক ধুলিপ্রবাহ দেখা যায়।

এক নজরে

রাষ্ট্রীয় নাম:রিপাবলিক অব বটসোয়ানা

রাজধানী:গ্যাবরোন

জাতীয়তা:বটসওয়ানা

আয়তন:৬,০০,৩৭০ বর্গ কিমি

আন্তর্জাতিক সীমান্ত:স্থল সীমান্ত ৪,০১৩ কিমি, কোনো সমুদ্র উপকূলীয় ভূমি নেই।

জনসংখ্যা:১৯,৯০,৮৭৬

ধর্ম:খ্রিস্টান ১৫%, স্থানীয় ধর্ম বিশ্বাসী ৮৫%

মুদ্রা:পুলা (ইডচ)

প্রধান নদী: শাশি, লিমপোপো ও কাভাঙ্গো।

প্রাকৃতিক সম্পদ: হীরক, তামা, নিকেল, লবণ, সোডা অ্যাশ, কয়লা, লোহা।

স্বাধীনতা লাভ:৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ (যুক্তরাজ্য হতে)

জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ:১৭ অক্টোবর ১৯৬৬

জাতীয়তা দিবস:৩০ সেপ্টেম্বর

ভাষা:ইংরেজি

সরকার পদ্ধতি:সংসদীয় গণতন্ত্র

সরকার প্রধান:প্রধানমন্ত্রী।

0 comments:

Post a Comment