ডিম তার সমান আয়তন পানির চেয়ে ভারী। এজন্য পানিতে ডিম ভাসতে পারে না, ডুবে যায়। কিন্তু নুনগোলা পানির ঘনত্ব সাধারণত স্বাভাবিক পানির চেয়ে বেশি। নুনগোলা পানিতে ডিম ফেললে, ডিম যেটুকু নোনা পানি সরিয়ে পানিতে নিজের জায়গা করে নেয় সেই অপসারিত পানির ওজন ডিমের ওজনের চেয়ে বেশি হয়। তাই নোনা পানিতে ডিম ভেসে থাকতে পারে, ডুবে যায় না। কিন্তু নোনা পানির নুনের পরিমাণ (বা গাঢ়তা) যদি কমে গিয়ে এমন অবস্থা হয়, ডিমের আয়তনের নোনা জলের ওজন ডিমের চেয়ে কম, তাহলে ডিম সেই নোনা পানিতে ডুবে যাবে। ডিমকে ভাসিয়ে তুলতে গেলে পাত্রে আরও নুন ঢেলে নোনা পানিতে নুনের গাঢ়তা বাড়াতে হবে। এভাবে নুন মেশাতে থাকলে একসময় দেখা যাবে, ডিম ভেসে উঠেছে।
কাচের গ্লাসে গরম দুধ সহনীয়, কিন্তু কাঁসার গ্লাস ভীষণ গরম হয়ে যায় কেন?
লোহার শিকের এক প্রান্ত আগুনের মধ্যে ঢোকালে হাতে ধরে থাকা অন্য প্রান্তটা যে খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে ওঠে তা টের পেতে দেরি হয় না। কিন্তু একটা কাচের দণ্ডের এক প্রান্ত হাতে ধরে অন্য প্রান্তকে আগুনে রেখে তাপ দিয়ে লাল করলেও হাতে বিশেষ গরম লাগে না। কেন এমন হয়? এর কারণ, তাপকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সব জিনিসের সমান হয় না। কিছু জিনিস আছে যেগুলো গরম হলে সেই তাপকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্বচ্ছন্দে নিয়ে যেতে পারে_ এদের বলে তাপ সুপরিবাহী। আর যেসব পদার্থ তাপ সহজে পরিবহন করতে পারে না, তাদের বলা হয় তাপ কুপরিবাহী। যেমন_ কাচ। কুপরিবাহী কাচের গ্লাসে ঢেলে নেওয়া গরম দুধ কাচের ভেতর দিয়ে আমাদের হাতে খুব কম
তাপ পাঠাতে পারে। তাই হাতে তেমন গরম লাগে না। কিন্তু কাঁসার ধাতব গ্লাস গরম দুধের তাপকে
খুব সহজেই পরিবহন করে আমাদের হাতে পাঠিয়ে দেয়।
তাই গ্লাস হাতে ধরে রাখা রীতিমতো কষ্টকর।
--ফারহানা মাহমুদ
0 comments:
Post a Comment