Wednesday, May 19, 2010

ঢাকা

0 comments
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ইতিহাস ঐতিহ্যে ঐশ্বর্যবান এক আনন্দ নগরী ঢাকা। দেশের জনপ্রিয় নদী বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে এই ঢাকার অবস্থান। সময়ের পালাক্রমে একে একে ৪০০ বছর অতিক্রম করেছে ঢাকা নগরী। বিশ্বের বহু দেশের অগনিত মানুষের প্রিয় এই নগরী। বাঙালিদের কাছে বরাবরই এক স্বর্ণালি স্বপ্নের নাম ঢাকা। মুঘল শাসন থেকে শুরু করে বহু উচ্চ বংশের শাসকরা এই ঢাকাকে ভালোবেসেছেন প্রাণ ভরে। কেউ কেউ একে করেছেন রাজধানী। কেউ এই সুন্দর তিলোত্তমা ঢাকার বুকে গড়ে তুলেছিলেন উদ্যান, নির্ভরতার আবাস-স্বরূপ বিশাল প্রাসাদ-প্রমোদ খানা। পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত ঢাকা বাণিজ্যের সাফল্যস্থান হিসেবে। কালে কালে নানা দেশের, নানা জাতির, নানা গোত্র-বর্ণের ব্যক্তিরা এখানে বাণিজ্য করেছেন, গড়েছেন নিজেদের ভাগ্য আর ঢাকাকে দান করে গেছেন হৃদয়-নিংড়ানো ভালোবাসার সবুজ ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসকরাও লোভ পড়েছিলেন ঢাকার। বিভিন্ন বইয়ে তাদের ঢাকা প্রেমের উক্তি পাওয়া যায়। তছাড়া ব্রিটিশদের আঁকা ছবিসহ অনেক তোলা ফটোও সেই সাক্ষীই দেয়। এদেশের সকল অধিকার, স্বাধিকার আদায়ের সবসময় অগ্রণী অবদান এই ঢাকার। দেশ তথা পৃথিবী-বিখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার বিরাট গর্ব। এমনই হাজার গর্ব বুকে ধারণ করে বিগত ৪০০ বছর যাবত গর্বিত করে আসছে ঢাকা সমস্ত ঢাকাবাসীদের, এদেশের বাঙালিদের। সময় গতিমান। ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে এগিয়ে চলে অবিরাম, ক্লান্তিহীন। সেই অবিরাম যাত্রার অতীত হয় বিশাল ইতিহাস। সেই ইতিহাসের ভাষায় ভর করে আজ ঢাকা সভ্যতার অনন্য ধারক। আধুনিকতার চরম যুগের হাওয়া গায়ে মেখে তিলোত্তমা ঢাকা আজ আধুনিক নগরী। তথ্যপ্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ সম্ভাব্য গতিশীল বাংলাদেশের পনেরো কোটি হৃদয়ের স্বপ্নের রাজধানী। এ আমাদের যেমন গর্বের তেমনই আচে বিশাল কিছু হতাশা ও দুশ্চিন্তা। অপরিকল্পিত নগরায়ন আর অবিবেচনামূলক কর্মকাণ্ডে ঢাকার আজ ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি। স্রোতস্বিনী বুড়িগঙ্গা আজ ঢাকার ঘৃণা, দুঃখ ব্যাখ্যা নিতে নিতে মৃতপ্রায়।

0 comments:

Post a Comment