বিষয় সমূহ
- Animal (67)
- Artical (29)
- Education (79)
- Fitness (19)
- Food (40)
- Game (12)
- Hijra(হিজড়া) (7)
- Journalism (23)
- Law (19)
- Liberation War(মুক্তিযুদ্ধ) (34)
- Love Effect (26)
- Mosque (42)
- Music (16)
- Nobel Prize (5)
- Organization (30)
- Others (56)
- Plants(গাছ-পালা) (29)
- Politics(রাজণীতি) (22)
- Scandal Religion (1)
- Tribe (8)
- Violence (16)
- Wikileaks (3)
Like for Update
64 Districts
- Bagerhat (4)
- Bandarban (3)
- Barisal (3)
- Bhola (3)
- Bogra (11)
- Brahmanbaria (2)
- Chandpur (4)
- Chapai Nawabganj (2)
- Chittagong (6)
- Comilla (2)
- Cox's Bazar (13)
- Dhaka (65)
- Dinajpur (6)
- Faridpur (1)
- Feni (1)
- Gaibandha (1)
- Gazipur (3)
- Gopalgonj (2)
- Habiganj (2)
- Jamalpur (4)
- Jessore (3)
- Jhenidah (2)
- Khagrachari (1)
- Khulna (3)
- Kishorgonj (2)
- Kurigram (1)
- Kushtia (3)
- Lalmonirhat (2)
- Madaripur (3)
- Magura (1)
- Manikgonj (1)
- Meherpur (2)
- Moulvibazar (14)
- Munsiganj (3)
- Mymensingh (5)
- Naogaon (8)
- Narayanganj (2)
- Natore (10)
- Netrokona (1)
- Nilphamari (2)
- Noakhali (1)
- Pabna (3)
- Panchagarh (2)
- Patuakhali (7)
- Pirojpur (1)
- Rajbari (1)
- Rajshahi (8)
- Rangamati (3)
- Rangpur (5)
- Satkhira (4)
- Sherpur (2)
- Sirajganj (5)
- Sunamganj (4)
- Sylhet (11)
- Tangail (1)
Blog Archive
-
▼
2010
(616)
-
▼
May
(64)
- চাঁপাই নবাবগঞ্জ
- Musa Ibrahim
- রেকর্ড বুকে এভারেস্ট
- ব্যান্ডউইডথ
- বিশ্বের প্রথম সাহিত্য
- নগোর্নো কারাবাখ
- নওগাঁ
- নিউজিল্যান্ড
- গরমে চুলের যত্ন
- সাধু থমাস চার্চ
- ফ্রিক ওয়েভ
- জামালপুরের নকশি কাঁথা
- প্রাচীন মেক্সিকোর রাজধানী তিয়ুতিহুয়াকান
- হাঁটা পীর হায়দার বাবা
- বারকোড
- পুরুষের স্তন সমস্যা
- হেরাসিম
- রাজা হরিশ চন্দ্রের প্রাসাদ ঢিবি
- গঙ্গাসাগর ঢাকার একমাত্র দিঘি
- দারুশিল্প
- ঢাকা
- ঝাপান খেলা
- বিজ্ঞান জাদুঘর
- মুন্সীগঞ্জ
- আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম
- বাংলার গাড়ী
- বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট
- বাংলায় জাদুঘর
- ম্যাকডোনাল্ড
- জব্বারের বলী খেলা
- রমনা পার্ক
- কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
- Awards of Military
- Awards of Air Force Military
- ছাই থেকে ইট
- বাংলাদেশের ঘর
- বৈজ্ঞানিক যন্ত্র
- লোহিত সাগর
- কারণ
- হায়ারোগ্লিফ
- মৎস্য বৃষ্টি
- রংপুর জেলা
- বাংলাদেশ
- সবচেয়ে বড়
- রাখাইনদের অবাক করা আদি সামগ্রী
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
- যাত্রা উৎসব
- মূকাভিনয়
- লাঙল
- টেরাকোটা
- অজান্তা পর্বত গুহা
- টুবু
- হাম্মাস
- নৌকা
- নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মুখানাচ
- শাঁখারিবাজারের শঙ্খশিল্প
- বাংলাদেশ
- জিব্রালটা এয়ারপোর্ট
- বায়তুল আমান জামে মসজিদ, বরিশাল
- তালাকের শীর্ষে প্রেমের বিয়ে
- দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ বৌদ্ধমূর্তি
- কাশি প্রসাদ রায় ও তার জমিদার বাড়ি
- পাহাড়পুর
- শতরঞ্জি
-
▼
May
(64)
Monday, May 24, 2010
হাঁটা পীর হায়দার বাবা
ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে কম-বেশি কেউ তাকে চেনেন। সবাই হয়তো ভালো মতো চিনেন না। কিন্তু ঢাকার বুকে পথ চলতে গিয়ে হঠাৎ 'হাঁটা পীর' ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দেখে চমকে ওঠেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঢাকায় তিনি এতটাই চেনা মুখ। কিন্তু কে এই হাঁটা পীর?হাঁটা পীর বা হায়দার বাবার সত্যিকার পরিচয় তেমন কারোরই জানা নেই। এ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করতে গিয়ে খুঁজে পাওয়া গেল গত ১৮/২০ বছর ধরে তার সঙ্গে থাকা খোকন নামের এক ব্যক্তিকে। হায়দার বাবার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একসময় আমাদের বাবা হাবিব ব্যাংকে চাকরি করতেন। ছাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ইংরেজি সাহিত্য এবং আরবিতে ডাবল এমএ লাভ করেন। তার পরিবারের অন্য এক ভাই খুব নামকরা ডাক্তার। সেই ভাই এখন পাকিস্তানে বসবাস করছেন। হায়দার বাবা বা হাঁটা পীরের পূর্ব পুরুষ ছিলেন ইরানের। তারা সেখান থেকে পাকিস্তানে আসেন এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে ভারতে এবং সর্বশেষ বাংলাদেশে।'ব্যাংকার হায়দার কিভাবে হায়দার বাবা হয়ে উঠলেন? এ প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকল। শেষমেশ ইনিয়ে বিনিয়ে এই কথাও জিজ্ঞেস করা হলো খোকনকে। হায়দার বাবা সম্পর্কে তার আশপাশের লোকদের কিছু জিজ্ঞেস করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমত: তার সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে চায় না। আর দ্বিতীয়ত যদি অসাবধানবশত পীরের কোনো অসম্মান হয় তাহলে সবাই তেড়ে আসতে পারে। তবু অনুরোধ করার পর মুখ খুললেন খোকন। বললেন- 'হায়দার বাবা খুব ভালোভাবেই চাকরি-বাকরি করছিলেন। সবই চলছিল ঠিকঠাক মতো। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি চাকরির প্রতি উদাসীন হয়ে যান। এই উদাসীনতা তাকে ধীরে ধীরে সন্ন্যাস জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। কী এক অলৌকিক চিন্তার সানি্নধ্যে সন্ন্যাস জীবন বেছে নিলেন হায়দার বাবা।'হায়দার বাবার পরিচয় আর উত্থান নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া দুষ্কর। তারপরও যতটুকু জানা গেছে স্বাধীনতার পর হায়দার বাবা কাঁটাবন মসজিদের পাশে আশ্রয় নিয়ে প্রথমবারের মতো তার কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তারপর মিরপুরে এক মেজরের বাড়িতে হায়দার বাবা তার কার্যক্রম চালাতে থাকেন। এভাবে যেতে থাকে বেশ কিছুদিন। তারপর হায়দার বাবা চলে আসেন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের ১২/৯ নম্বর বাড়ির নিচতলায়। এখান থেকে দীর্ঘদিন ধরে তার সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। হায়দার বাবা তার কার্যক্রম দিয়ে ধীরে ধীরে বেশকিছু ভক্ত এবং গুণগ্রাহী তৈরি করে নেন। এই ভক্ত গুণগ্রাহীরা হায়দার বাবার প্রতি এতটাই অনুরক্ত যে, তারা বাবার খুশির জন্য নূরজাহান রোডের ইউ-৪৭ লাইনে ৭ বছর আগে পৌনে তিন কাঠার রেডিমেড একটি বাড়ি কিনে দেন। বাড়িটি কিনতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লেগেছিল। গত সাত বছর ধরে হায়দার বাবার এ আস্তানাটিও বেশ জমে উঠেছে। বর্তমানে তাজমহল রোড এবং নূরজাহান রোডের দুটি আস্তানাই বেশ জমজমাট বলা চলে। হায়দার বাবার আস্তানায় প্রতিবছর একটি ওরসের আয়োজন করা হয়। অন্য যেকোনো ওরস থেকে এ ওরসের অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ব্যতিক্রম। যেখানে অন্য ওরসগুলোতে গরু এবং মহিষের মাংস ব্যবহার হয় সেখানে হায়দার বাবার ওরসে ব্যবহার করা হয় খাসি। প্রতি বছর রজব মাসের ১০ তারিখে এ ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরসে হায়দার বাবার প্রায় বিশ হাজার ভক্ত-গুণগ্রাহী উপস্থিত হন।তাবৎ মানুষ প্রাতঃ কিংবা সান্ধ্যকালীন ভ্রমণের জন্য হাঁটাহাঁটি করলেও হায়দার বাবা হাঁটেন তার ধ্যানের জন্য। হায়দার বাবা হাঁটা শুরু করলে কখন যে কোথায় যান তার কোন ঠিক নেই। আবার হায়দার বাবা কখনো একাধারে ৭/৮ দিন পর্যন্ত হাঁটেন। আবার কখনো ১ মাস, দেড় মাস কিংবা ৬ মাসও দীর্ঘ হয়ে থাকে। জানা গেছে, হায়দার বাবার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ হাঁটার রেকর্ড হচ্ছে টানা ছয় মাস। এই ছয় মাসের হাঁটার সময় তিনি পুরো ঢাকা শহর, সাভার, আশুলিয়া, আরিচা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি পর্যন্ত হেঁটেছেন। তবে হায়দার বাবার এ হাঁটার মধ্যেও রয়েছে কিছুটা বৈচিত্র্য। হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর যাওয়ার পর ক্লান্ত হয়ে পড়লে হায়দার বাবা বসে পড়েন। আর তখন তাকে ঘিরেই তার ভক্তরা হাতে বিভিন্ন খাবার নিয়ে তৈরি থাকেন।হায়দার বাবার জীবনাচরণে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া নেই বললেই চলে। হায়দার বাবাকে আজ পর্যন্ত কেউই গোসল করতে দেখেনি। অপরিষ্কার থাকতে থাকতে তার মাথার চুল জটবেঁধে গেছে। ব্যক্তিজীবনে হায়দার বাবা তিন সন্তানের জনক। তার বড় ছেলের নাম লাডলা, সে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত, মেজো ছেলের নাম শাহজাদা। সে একটি কালার ল্যাবে চাকরি করে। আর ছোট ছেলে এখনো কিছু করছে না। তবে তার মধ্যে নাকি অনেকে হায়দার বাবার ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন। হায়দার বাবা বা হাঁটা পীরের স্ত্রী যখন মারা যান তখন তার বড় ছেলের বয়স ছিল ১০/১১ বছর। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর হায়দার বাবা আর বিয়ে-শাদিও করেননি।হায়দার বাবার গুণগ্রাহীদের তালিকাটাও বেশ বড়। হায়দার বাবার কছে এমনিতে সব শ্রেণীর লোকই আসেন। তবে এদের মধ্যে নাকি মহিলার সংখ্যাই বেশি। আর এসব মহিলার বেশির ভাগের সমস্যা থাকে দাম্পত্য কলহ। তারা সবাই সমাধানের আশায় ছুটে আসেন হায়দার বাবার কাছে। অনেকে আবার ব্যবসায়িক সাফল্যের তদবির নিয়ে আসেন। কথা হয় এমনই বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। পুরান ঢাকার ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী জাহানারা। তিনি গত ১৩ বছর ধরে বাবার কাছে আসা-যাওয়া করছেন। তিনি দাবি কররেন বাবার কথামতো চলে তিনি সাফল্যও পেয়েছেন। ধানমন্ডি থেকে আনোয়ারা এসেছেন তার মেয়ের বিয়ের জন্য মানত করতে। আনোয়ারাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আমি লোকমুখে তার কথা শুনেছি। আমার বিশ্বাস উপরে আল্লাহ আর নিচে হচ্ছেন বাবা (হায়দার বাবা)। তিনি যদি চান তাহলে মেয়ের বিয়ে অবশ্যই তাড়াতাড়ি হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য অনেক পিতা-মাতা এবং অভিভাবককে বাবার (হায়দার বাবার) কাছে দোয়া নিতে দেখা গেছে। কিছুদিন তার কাছাকাছি থাকলেই মনে হবে এমন কোনো পেশা কিংবা সমস্যার লোকজন নেই যারা হায়দার বাবার কাছে আসেন না। ঢাকা শহরের সীমা ছাড়িয়ে হায়দার বাবার খ্যাতি পেঁৗছে গেছে অন্য জেলায়ও।হায়দার বাবাকে নিয়ে বিভ্রান্তি আছে স্থানীয় লোকজনের মধ্যেও। তাজমহল রোডের বাসিন্দা আলহাজ আলতাফ হোসেন বলেন, 'হায়দার বাবার বিষয়টা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। মানুষ যে কেন তাকে নিয়ে এত মাতামাতি করে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।' হায়দার বাবা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাবেক কমিশনার এবং বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী আলহাজ সফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, 'তাকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। একটা ঘটনা মনে পড়ছে। সেটা বললে হয়তো অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। একদিন আমি বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখা হয় হায়দার বাবার সঙ্গে। যদিও এসবে আমার কোনো বিশ্বাস নেই তবু চোখের সামনে পড়ার কারণে আমি তাকে সালাম দিই। তার প্রত্যুত্তরে তিনি আমাকে বলেছিলেন ভাগ (দূর হও)। সেই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করেন। এরপরও তিনি কীভাবে পীর হন আমি বুঝি না। অনেকেই তাকে বিশ্বাস করে এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।' হায়দার বাবার সঙ্গে ঘুরলে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। হায়দার বাবার ছবি তুলতে গিয়েও বাঁধে বিপত্তি। ভক্ত অনুরাগীরা তার ছবি তুলতে দেবে না। ক্যামেরার দিকে কেউ বোতল তাক করে, কেউবা আবার তেড়ে আসে। হাঁটা পীর হায়দার বাবার প্রতি সবার এমনই বিশ্বাস আর ভালোবাসা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment