Monday, May 24, 2010

বারকোড

0 comments
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র, যেমন_ বই সাবান, শ্যাম্পু, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বা অন্য জিনিসপত্রের গায়ে লম্বা সমান্তরাল কালো দাগের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের সিল দেখা যায়। আমরা অনেকেই জানি না এই জিনিসটি কি বা এর দ্বারা কি বোঝানো হয়। এই সিলকে বলা হয় বারকোড। আজ থেকে প্রায় দু'দশক আগে বারকোডের প্রচলন শুরু হয়েছে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বারকোডেরও প্রসার ঘটছে দ্রুতগতিতে। এক কথায় বলা যায়, দৃশ্যত বারকোড হলো পণ্যের পরিচিতিপত্র। একটি জিনিসের বারকোডের সঙ্গে আরেকটি জিনিসের বারকোডের কোনোমিল নেই। কারণ সব জিনিস তো আর এক নয়, কিংবা সে সবের মান, উৎপাদনকাল এবং দামও এক নয়। তবে পার্থক্য খুব স্পষ্ট নয়, বরং খুবই সূক্ষ্ম, যা এক রকম ধরাই যায় না। বিভিন্ন প্রকার বারকোড ছাপানোর উদ্দেশ্যে হলো ওইসব পণ্য সম্পর্কিত তথ্য ক্রেতাদের জানানো। যেমন : দাম, সংখ্যা, উৎপাদনের তারিখ, ব্যবহারের সময়কাল, গুণগত মান ইত্যাদি। এ সংকেত দেখে সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি পণ্যের উপরোক্ত তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারেন না। শুধুমাত্র কম্পিউটারাইজড স্ক্যানার এ তথ্য বা সংকেত পড়তে পারে। দোকানে গিয়ে কোনো জিনিস কেনার পর ক্যাশিয়ার তার স্ক্যানারের সেন্সর ওই বারকোডের ওপর দিয়ে শুধু একবার টেনে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই পণ্যের যাবতীয় তথ্য কম্পিউটার রেকর্ড করে নেয় এবং সেসব তথ্য কম্পিউটারের স্ক্রিনের ওপর ভেসে ওঠে। উন্নত বিশ্বের দোকানিরা এভাবেই পণ্য বিক্রি করে থাকে।

0 comments:

Post a Comment