Sunday, May 16, 2010

বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট

0 comments
এম করিম
বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটটিসহ বাকি ৪টি মার্কেট নিয়ে বঙ্গকমপ্লেক্স করা হয়েছে। অন্যান্য মার্কেটগুলোর মধ্যে গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, মহানগর হকার্স মার্কেট এবং আদর্শ হকার্স মার্কেট, বঙ্গ বাজারসহ এই ৪টি মার্কেট নিয়ে ২০০৪ সালে বঙ্গ কমপ্লেক্স করা হয়েছে। বর্তমানে চারটি মার্কেট নিয়ে ২৩৭০টি দোকান দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মিত আছে।
১৯৭২ সালে গুলিস্তানে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট ছিল ১৯৭৫ সালে তা ভেঙে দিয়ে দেওয়া হয়। তৎকালীন মার্কেটটি ডিআইটির তত্ত্বাবধানে ছিল। পরবর্তীতে ডিআইটি রেলওয়েকে হস্তান্তর করে আবার রেলওয়ে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে। গুলিস্তানে পাকা মার্কেট নির্মাণের লক্ষ্যে ডিসিসি বিকল্প হিসেবে ফুলবাড়িয়া বিকল্প মার্কেট হিসেবে স্থানান্তর করে। এই মার্কেটটিতে ১৯৯৫ সালে দু’বার আগুন লাগে। প্রথমবার প্রায় ২২’শ দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। দ্বিতীয়বার আংশিক দোকান পুড়ে যায়। আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেটে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা দাঁড়ায়। সেসময় সরকার ১ কোটি টাকা, ডিসিসি ৪০ লাখ টাকা এবং টিন ১১ বান সহ দোকানদারদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে মার্কেটটি পুনঃনির্মাণ করা হয়। সে সময় সরকার থেকে শুরু করে সবধরনের ক্রেতার একটি সহানুভূতি ছিল মার্কেটের ওপর।
বঙ্গ কমপ্লেক্সে সবধরনের গার্মেন্টস আইটেম পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। দোকানদাররা দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে গার্মেন্টসের প্যান্ট, গেঞ্জি, শার্ট কম দামে ক্রয় করে এই মার্কেটে বিক্রি করছে। রফতানিযোগ্য এমন ধরনের গার্মেন্টস আইটেমও এই মার্কেটে পাওয়া যায়। যে কারণে দোকানদাররা কম দামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছে এবং মুনাফা কম করে বিধায় বিক্রি ভালো হচ্ছে। ক্রেতারও বেশ সমাগম থাকে। জানা যায়, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ভারত ও রাশিয়া থেকে বায়াররা এসে গার্মেন্টস আইটেম নিয়ে যায়। যে কোনো পণ্যসামগ্রী পাইকারি দরে বিক্রি হয় বিধায় খুচরা ক্রেতাগণ সে সুযোগও পাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সব জেলায় বঙ্গ কমপ্লেক্সের মালামাল পাইকাররা এসে নিয়ে যায়। বঙ্গ কমপ্লেক্সের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার সিরাজুল ইসলাম জানান, এখানে লাভ কম, বিক্রি বেশি। সে হিসেবে মার্কেটের সুনাম আছে। দেশ-বিদেশেও সুনাম আছে। এখানে দূরদূরান্ত থেকে অভিজাত ক্রেতাগণ খুচরা পণ্য কিনতে চলে আসে। বিভিন্ন দূতাবাসের লোকজনও আসে। তিনি জানান, বিদেশি ক্রেতার জন্য ভাসমান কিছু লোক আছে দোভাষির কাজ করে দেয়। যেমন কোনো দোকানদারের কাছে কোনো বিদেশি লোক কাপড় কিনতে আসলে দোকানদার যদি ইংরেজি বোঝে তাহলে দো-ভাষির কাজ করে দেয় ওই ভাসমান লোকজন। এতে তারা ক্রেতার কাছ থেকে বখশিসও পেয়ে থাকে মোটা অংকের। তাছাড়া এই মার্কেটে দেশি-বিদেশি শাড়ি পাওয়া যায় পাইকারি দরে। এখানে ভারত ও চায়না থেকে এলসির মাধ্যমে শাড়ি আসে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ডিসিসি থেকে সেবামূলক কোনো সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ক্লিনার গার্ড এসব ডিসিসি’র থাকার কথা থাকলেও এগুলো সম্পূর্ণ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই করেন।

0 comments:

Post a Comment