Monday, October 18, 2010

হোয়াইট হল

0 comments
ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন শহরে অবস্থিত ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয় ও রানীর সাবেক বাসভবনই হোয়াইট হল। ১৬২২ সালে হোয়াইট হল নির্মাণ করা হয়। আইনিগোজোনস হোয়াইট হল নির্মাণ করেন। নির্মাণের পরে এর নামকরণ করা হয় বানকুইটিং হাউস। ১৭৩৩-৩৭ সালে বানকুইটিং হাউস রাজস্ব ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। হলবেইন গেট নামক একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ১৭৫৯ সালে বানকুইটিং হাউসকে নিজের খাসকামরা হিসেবে ঘোষণা করেন। হলবেইন নামক ভদ্রলোকে মৃত্যুর পর ১৮৯৭ সালে বানকুইটিং হাউসটি হোয়াইট হল নাম ধারণ করে। ব্রিটেনের সংসদ ভবনের উত্তর পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি চলে গেছে তার পাশেই ইতিহাসখ্যাত হোয়াইট হল অবস্থিত।

জনশ্রুতি আছে যে, প্রাসাদ ওয়েস্ট মিনিস্টারের সুরক্ষার জন্যই হোয়াইট হল নির্মাণ করা হয়। ১৬২২ সালে হোয়াইট হলের মূল যে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল, উনিশ শতকে এসে তার অনেক পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়। যুক্তরাজ্যের আধিবাসীদের কাছে হোয়াইট হল বিভিন্ন নামে ব্যবহৃত হয়। অনেকে হোয়াইট হলকে ক্যারোলিন হল বলে সম্বোধন করে। শুধু যুক্তরাজ্যের আধিবাসীদের কাছে নয়, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড, ফ্রান্স ও ডেনমার্ক অধিবাসীদের কাছেও হোয়াইট হল অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখানেই যুক্তরাজ্যের সরকারি কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রিটেনের রানী যখন হোয়াইট হলে বসবাস করতেন, তখন ভবনটি দেখতে শ্বেত ছিল না।

১৯০৫ সালের পরবর্তী সময় থেকে যখন হোয়াইট হল ব্রিটিশ সরকারের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু হয় তখন এর উপরে সাদা রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়। হোয়াইট হলের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪০০ কক্ষ। ২০টিরও বেশি গোসলখানা। অসংখ্য প্রহরী ও পরিচ্ছন্ন কর্মী। হোয়াইট হল এখন ব্রিটিশ সরকারের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ব্রিটেনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় রাস্তার সংযোগস্থলে হোয়াইট হল অবস্থিত বিধায় প্রতিদিন লাখ লাখ দর্শনার্থী হোয়াইট হল অবলোকন করতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেসব যোদ্ধা নিহত হয়েছে প্রতি বছর তাদের স্মরণে হোয়াইট হলের অডিটোরিয়ামে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এ স্মরণ সভায় শুধু ব্রিটেনের নয়, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি জাপানের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত থাকেন। ১৯১৫-১৯১৮ সালে ব্রিটিশ সরকারের সুরক্ষার জন্য হোয়াইট হলের পাশেই মিলিটারি ব্যারাক স্থাপন করা হয়। বলা বাহুল্য, ইংল্যান্ডের সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে যে রাস্তাটি রয়েছে তা অনেকের কাছে হোয়াইট হল হিসেবে পরিচিত।

0 comments:

Post a Comment