Friday, October 1, 2010

বাবরি মসজিদ বিতর্কের ইতিহাস

1 comments
অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের ভূমি নিয়ে বিরোধ তিন শতকের। নানা সময়ে ঘটেছে জাতিগত সহিংসতা। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজনীতিও করেছেন অনেকে। ফায়দা লুটেছেন। কিন্তু এ ভূমি সত্যিকার অর্থে কার_ এ নিয়ে আছে নানামুখী বক্তব্য।
ইন্ডিয়ার বিখ্যাত বাবরি মসজিদটি ধর্মের রেষারেষিতে ভেঙ্গে ফেলা হয়।। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই বাবরি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে নামাজে সিজদারত অসংখ্য মুসলমান ভাইয়েরা।। আল্লাহর রহমতের জন্য প্রার্থনা করা এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা জরুরী।।


হিন্দুদের মতে, এই জমির মালিক হিন্দুরা। ১৫২৭ সালে সম্রাট বাবর হিন্দুরাজ্য চিত্তগড় দখল করে নেন। এর শাসনভার দেন তার জেনারেল মীর বাকিকে। বাকি অযোদ্ধায় অনেক মন্দির ধ্বংস করেন। নির্মাণ করেন মসজিদ। আর এর নামকরণ করা হয় সম্রাট বাবরের নামানুসারে। হিন্দুরা বলেন, ওই জায়গাটি তাদের অবতার রামের জন্মভূমি। এটি তাদের তীর্থস্থান। আর এ কারণেই তারা এটি উদ্ধার করতে মরিয়া। এদিকে জৈন সম্প্রদায়ের দাবি ওই জায়গার মালিক তারা। জৈন সমতা বাহিনী নামে একটি সামাজিক সংগঠনের নেতারা বলছেন সেখানে পাওয়া বিভিন্ন নিদর্শন প্রমাণ করে ওই জায়গা তাদের। সেখানে ষোল শতকের জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোহান মেহতা বলেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রাচীন মন্দির জৈন সম্প্রদায়ের। তিনি বলেন, জৈন সম্প্রদায়ের সাধক রিশাবাধেও, অজিত নাথ, অভিনন্দনজি, সুমাতিনাথ ও অনন্তনাথ অযোদ্ধায় থাকতেন। সুতরাং এটি জৈনদের তীর্থভূমি।

মুসলমানদের দাবি ভিন্ন। তারা বলছেন, এ জমির মালিক মুসলমানরা। তাদের বিশ্বাস, হিন্দুবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), বিশ্বহিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও হিন্দু মুন্নাই বাবরি মসজিদকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করছে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্ররোচিত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তাদের বিশ্বাস, এ জমির মালিক মুসলমানরা। অন্যদিকে ব্রিটিশরা বলেছেন, বাবর পানিপথের যুদ্ধে জয়ী হন ১৫২৬ সালে। তিনি আগ্রার দিকে এগিয়ে যান এবং লোদির আফগান বাহিনীকে পরাজিত করেন। তিনি কেন্দ্রীয় ভারত থেকে ফিরে যাওয়ার সময় লখনৌতে মসজিদ নির্মাণ করেন। এটিই বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত। তবে অযোদ্ধা রামের জন্মভূমি বলে তারা উল্লেখ করেন।

অপরদিকে নির্মোহী গোষ্ঠীর দাবি, সেখানে তাদের একটি মন্দির ছিল। বাবর সেটি ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেন।





News Source:Bangladesh Protidin, Picture Source: Facebook

1 comments:

Post a Comment