Saturday, October 23, 2010

প্রেমিককে উচ্ছৃক্সখল জীবন থেকে ফেরাতে গিয়ে খুন হন সারিমা

0 comments
প্রেমিক সৌরভকে উচ্ছৃক্সখল জীবন থেকে সরিয়ে আনতে গিয়ে নিজেই চিরবিদায় নিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী সারিমা রহমান মৃধাত। পুলিশের কাছে আটক ঘাতক সৌরভের বন্ধু ইশতিয়াক এ তথ্য দিয়েছে। মৃধাত হত্যাকাণ্ডের পর দুই দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ঘটনার মূল নায়ক এসএম তোহা সৌরভকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এস আই মোহাম্মদ মোহসীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'মৃধাতের ঘাতক সৌরভকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। আশা করছি আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে সৌরভকে গ্রেফতার করতে পারব বলে আশা করছি।

মৃধাত ও সৌরভের কয়েকজন বন্ধু জানান, দীর্ঘ সাত বছর ধরে সৌরভ এবং মৃধাতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সৌরভ এইচএসসিতে ফেল করলে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে উচ্ছৃক্সখল জীবনযাপন শুরু করে। মৃধাত তাকে এ জীবনযাপন থেকে সরিয়ে আনতে বারবার চেষ্টা করলেও সৌরভ সরে আসেনি। একসময় মৃধাত সৌরভের জীবন থেকে সরে আসে। তাই ক্ষুব্ধ সৌরভ তাকে হত্যা করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রেমিকের হাতে খুন হলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সারিমা রহমান মৃধাত (১৯)। গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নগরীর আমিরবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসার ছাদে ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করল প্রেমিক সৌরভ। এ ঘটনায় সৌরভের বন্ধু সাফায়াত ইশতিয়াককে আটক করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, সারিমা রহমান মৃধাত নগরীর স্বনামখ্যাত গাইনি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহনাজ আহমেদ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম রহমানের মেয়ে। সাত বছর ধরে নগরীর বায়েজীদ এলাকার সৌরভ নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। কিন্তু ইদানীং সৌরভ উচ্ছৃক্সখল হয়ে যাওয়ায় দুজনের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। গতকাল ছিল আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের ইতি টানার দিন। এ অবস্থায় বিকালে সৌরভ মৃধাতকে ফোন করে আমিরবাগ আবাসিক এলাকায় আসতে বলে। পাঁচটার দিকে মৃধাত বান্ধবী তাসরিয়াকে নিয়ে সৌরভের সঙ্গে দেখা করতে এলে সৌরভ ইশতিয়াককে নিয়ে আইডিয়াল হাউস নামের একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় মৃধাত ও তাসরিয়াকে। এই বাড়িতেই ভাড়ায় থাকে ইশতিয়াকদের পরিবার। ছাদে যাওয়ার পর তাসরিয়া ও ইশতিয়াক এক পাশে এবং অন্য পাশে মৃধাত ও সৌরভ কথা বলছিল। একপর্যায়ে সৌরভ উত্তেজিত হয়ে মৃধাতকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাসরিয়া ও ইশতিয়াক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমেনা বেগম সৌরভের বন্ধু ইশতিয়াককে হাসপাতাল থেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। এ ব্যাপারে রাত পৌনে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং সৌরভকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া কোতোয়ালি থানায় এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

0 comments:

Post a Comment