বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষে ফ্লোরিডার ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এ গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের প্রায় আড়াই বিলিয়ন মানুষ মলমূত্র ত্যাগ করেন খোলা মাঠে, জঙ্গলে অথবা রাস্তার পাশে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি পরিবেশ দূষণেরও কারণ। গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, এছাড়া শহরাঞ্চলের আরো ২.১ বিলিয়ন মানুষ পাকা অথবা আধা পাকা পায়খানা-প্রস্রাবখানা ব্যবহার করে। সেগুলোও যথাযথভাবে সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ সেসব মলমূত্র বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ধ্বংসের কোনো পন্থা অবলম্বন করা হয়নি। ফলে তা রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা-প্রসাবখানা ব্যবহার না করায় প্রতি বছর ১৬ লাখ শিশু মারা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নিকটস্থ পানি সরবরাহ লাইন অথবা খাবার পানি সরবরাহের স্তরেও বিস্তৃত হচ্ছে এসব মলমূত্রের নির্যাস। স্যানিটেশন সার্ভিস যদি সত্যিকার অর্থে নিরাপদ করা সম্ভব হয় তাহলে ডায়রিয়ার প্রকোপ শতকরা ২০ ভাগ থেকে ৪০ ভাগ হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে মহিলা ও বালিকারাও প্রাইভেসি বজায় রেখে পর্দানশিনভাবে মলমূত্র ত্যাগের সুযোগ পাবেন।
গবেষকরা আশা করছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তা অথবা জনবসতি রয়েছে এমন এলাকায় মলমূত্র ত্যাগের জন্য স্বল্প ব্যয়ে টয়লেট অথবা পায়খানা তৈরির অনুমতি পাবেন সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে। এরপর তারা ওই কর্মসূচিকে জনপ্রিয় করতে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণা চালাবেন। টয়লেটগুলো ভরে গেলে মলমূত্র সরিয়ে নেওয়া হবে নির্দিষ্ট একটি স্থানে, যা পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে না। এরপর এমনভাবে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে, যা ক্ষেতখামারে সার হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী হতে পারে অথবা জ্বালানি কিংবা শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হতে পারে। গবেষকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশী-আমেরিকান আতিকুর রহমান ইতোমধ্যেই ফ্লোরিডা থেকে ঢাকায় চলে গেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার পর তিনি বাংলাদেশে কাজ শুরু করতে চান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তথা বাংলাদেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি প্রশাসনের সহায়তা ব্যতীত এ উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করা সম্ভব নয় বলে তিনি বার্তা সংস্থা এনাকে জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক থেকে এনা
HTML Comment Box is loading comments...
What a surprising news!