Monday, October 18, 2010

রিপ্লি থেকে

0 comments
-মিসেস বার্থা ওয়েইর ছিলেন আমেরিকার অন্টারিও'র কার্লটন প্লেসের বাসিন্দা। গির্জার সংগীত দলে ছিলেন তিনি। যিশু খ্রিস্টের গুণকীর্তন করে গির্জায় গেয়েছেন টানা ৭৪ বছর।

-১৬৪৪ সাল থেকে ১৬৪৭ সাল পর্যন্ত যেসব ডেনিশ কয়েন তৈরি হয়, সেগুলোতে হিব্রু ভাষায় খোদাই করা ছিল 'জে হোভা'। হিব্রু ভাষায় জে হোভা মানে ঈশ্বর। 'ঈশ্বর একজন ন্যায়বিচারক'_এই কথাটি আংশিকভাবে বোঝানোর জন্যই 'জে হোভা' শব্দটি জুড়ে দেওয়া হতো মুদ্রাগুলোতে।

-ভাবা যায়, সামান্য খুক্কুর-খুক্ কাশির ওপর ভিত্তি করে একটা রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত! তাহিতির রাজা প্রথম পমেয়ার জন্মের পর নাম পেয়েছিলেন ওটু। কিন্তু পরে তিনি নিজের নাম রাখেন পমেয়ার। তাহিতির ভাষায়, পমেয়ার মানে 'রাতের কাশি'। তার প্রিয় পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল যক্ষ্মায়, মারাত্মক কাশিতে আক্রান্ত হয়ে। এই পুত্রশোককে বুকে ধারণ করেই নিজের নাম কাশি, অর্থাৎ পমেয়ার রাখেন তিনি। পরে আরো তিনজন তাহিতি শাসক এই পমেয়ার নাম ধারণ করেন।

-অ্যালান বেনেটের বাড়ি ইংল্যান্ডের লন্ডনে। তিনিই একমাত্র ইংরেজ, যিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়েছিলেন। একজন বার্মিজ বৌদ্ধ সন্ন্যাসি বনে যান তিনি। তার নাম হয়ে যায় রামা দর জি প্রজনানন্দা। অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুর মতোই কঠোর সংযমী জীবন বেছে নিতে হয় তাকে। তিনি কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন করতে পারতেন না, কোনো গাড়িতে চড়তে পারতেন না, কোনো বিছানায় ঘুমোতে পারতেন না কিংবা মেয়ে আছে_ এমন বাড়িতে থাকতে পারতেন না।

-চুরি তো চুরি, তার ওপর আবার সিনা জুরি! ঠিক এই কাজটিই করে থাকে 'অ্যান্থারো ফ্যাগাস বাটল' নামে এক ধরনের পোকা। ভোমরার বাসায় গিয়ে ডিম ছাড়ে এরা। আর ভোমরার বাসাটা খুঁজেও নেয় অভিনব কৌশলে। কোনো ভোমরাকে পাখাওয়ালা ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করে তার সঙ্গে উড়ে যায় সেই বাসায়।

-ইঁদুর জল না খেয়ে উটের চেয়ে বেশিদিন জীবিত থাকতে পারে।

-নিউট্রন বোমা একটা পারমাণবিক বোমা, যার রশ্মি গায়ে লাগলে মানুষ
মারা যায়। কিন্তু দালান ইত্যাদির উপর সে বোমার কোনো প্রভাব নেই।

-মানুষের শরীরে কিছু সংকেত প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ ফুট গতিতে এবং অন্য কিছু সংকেত প্রতি সেকেন্ডে দেড়ফুট গতিতে যাত্রা করে।

-শামুক একটা ব্লেডের ধারের উপরে ও চলতে পারে।

-বিশ্বে চীনা সেনাবাহিনীতে সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২৩ লাখ। এর বাইরেও ৮ লাখ রিজার্ভ সেনা আছে চীনের, যারা কিনা মূল বাহিনী অন্তর্গত নয়। আর আমেরিকার সৈন্য সংখ্যা ১৫ লাখ, ভারতের সাড়ে ১৩ লাখ। সে তুলনায় যুক্তরাজ্যের সংখ্যাটা বেশ কমই বটে। মাত্র ২ লাখ।

-রাশিয়ার নিউক্লিয়ার অস্ত্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১৬ হাজার। আর আমেরিকার আছে ১০ হাজার।

-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মান আর সোভিয়েত বাহিনীর মধ্যে চলা স্ট্যালিনগ্রাদ যুদ্ধে প্রায় ২০ লাখ লোক নিহত এবং আহত হয়েছিল। এটিই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এটি ১৯ আগস্ট, ১৭৪২ থেকে ২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৩ পর্যন্ত টানা চলেছিল।

-প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন রাশিয়ার হয়ে ১ কোটি ২০ লাখ লোক অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ করেছিল।

-আমেরিকায় ১৯১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পল গিডেলকে হত্যা মামলার সাজা হিসেবে কারাগারে বন্দী করা হয়। আর তাকে ছাড়া হয় ১৯৮০ সালের ৭ মে। তখন তার বয়স ছিল ৮৫, জীবনে ৬৮ বছর ২৪৫ দিনই তার জেলে খেটেছে।




-আমিন রহমান নবাব

0 comments:

Post a Comment