Sunday, January 23, 2011

রিসমন্ড প্রাসাদ

0 comments
ইংল্যান্ডের কোন প্রাসাদটি সবচেয়ে আলোকোজ্জ্বল ও চমৎকার? এ প্রশ্নের উত্তরে ইংল্যান্ডবাসী নিশ্চয়ই সচিত্তে বলবেন, রিসমন্ড প্রাসাদ। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন শহরের কেন্দ্রে রিসমন্ড প্রাসাদ অবস্থিত। ৯৫০ খ্রিস্টপূর্বঅব্দে রাজা উইলিয়াম ওয়ালেস প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। শুরুতে প্রাসাদটি উইলিয়াম প্রাসাদ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ১৭৯০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রিসমন্ড প্রাসাদ। এর আয়তন ৮.২ কি. মিটার। এ প্রাসাদের মধ্যে রয়েছে সুবিশাল একাধিক ভবন, যে ভবনগুলোতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন বসবাস করে। রিসমন্ড প্রাসাদ বর্তমানে ইংল্যান্ড সরকারের বিশেষ প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রিসমন্ড প্রাসাদের পাশেই রয়েছে বিখ্যাত রিসমন্ড পার্ক। যে পার্কে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রাতঃভ্রমণ করে। রিসমন্ড পার্ক ও প্রাসাদ কার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ থাকলেও ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের মতে, ১৭৯০ সালে ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি রিসমন্ড প্যারিসের নামানুসারেই প্রাসাদটির নামকরণ করা হয়। রিসমন্ড প্রাসাদ অন্য যে কারণে বিখ্যাত তা হলো এর কারুকার্য। অদ্ভুত, রহস্যঘেরা রিসমন্ড প্রাসাদের কারুকার্য যে কোনো ব্যক্তিকে বিমোহিত করবে। সাদা, আকাশি ও সবুজ রংয়ের মার্বেল পাথর ও নাম না জানা হাজারো শৈল্পিক নিদর্শন দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে রিসমন্ড প্রাসাদ। রিসমন্ড প্রাসাদের ২০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে ইংল্যান্ডের সংসদ ভবন। তার পাশেই রয়েছে ইউলিয়াম ওয়ালেসার সমাধি স্থান। সাততলাবিশিষ্ট রিসমন্ড প্রাসাদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫০টি বেড রুম, ৩০টি বাথরুম, ১০টি রান্নাঘর ও ২০টি অতিথিশালা। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য ২০টি আলাদা কক্ষ। সে কক্ষগুলো থেকে বিশেষ প্রশাসনিক কার্যক্রমগুলো সুসম্পন্ন করা হয়। লন্ডনবাসীর অনেকেই রিসমন্ড প্রাসাদ ও পার্ককে লন্ডনের উপশহর বলে সম্বোধন করে। মূলত লন্ডনের কেন্দ্রে রিসমন্ড প্রাসাদের অবস্থান হলেও খ্রিস্টপূর্ব ৯৫০ অব্দের দিকে এটি এতটা নাম করা ছিল না। কালক্রমে বিভিন্ন অবস্থানের প্রেক্ষাপটে প্রাসাদটি ও এর আশপাশের জায়গাটি সবার নজরে আসতে থাকে। যে কারণে পরবর্তীতে ক্যারোলিন কোস, রিসমন্ড পার্ক ও ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট রিসমন্ড পার্কের আশপাশে স্থাপন করা হয়। রিসমন্ড প্রাসাদ দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায় লন্ডনের ওয়ালেসে। রিসমন্ড প্রাসাদের সামগ্রিক পরিচালনার দায়িত্বে আছে প্রায় ১০০ জন নিরাপত্তাকর্মী। যারা সর্বক্ষণিক রিসমন্ড প্রাসাদ দেখাশোনা করে। ১৯৬৫ সালে রিসমন্ড প্রাসাদকে সংস্কার করা হয়। এর পাশেই খনন করা হয় রিসমন্ড লেক। যে লেকটি রিসমন্ড প্রাসাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। যাই হোক, বর্তমানে এ প্রাসাদটি শুধু ইংল্যান্ডবাসীর জন্য নয়, সমগ্র ইউরোপবাসীর জন্য একটি ঐতিহ্যের ও গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

-মো. রিয়াজুল ইসলাম

0 comments:

Post a Comment