Saturday, January 29, 2011

দ্য উইটেলসব্যাক গ্রাফ ডায়মন্ড

0 comments
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান'স ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে এখন শোভা পাচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম সেই রহস্যময় সুন্দর হীরকখণ্ডটি; যার নাম 'দ্য উইটেলসব্যাক-গ্রাফ ডায়মন্ড'। জানা গেছে, মহামূল্যবান এই হীরকখণ্ডটি বিক্রির উদ্দেশ্যেই এখানে রাখা হয়েছে। এ হীরাটি শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ১৯৫৮ সালে, ব্রাসেলসের ওয়ার্ল্ড এক্সিবিশনে। তারপরই রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায় এ হীরকখণ্ডটি। এরপর ২০০৮ সালের এক নিলামে লরেন্স গ্রাফ এটিকে কিনে নেওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে হীরকখণ্ডটি।

রহস্যময় এই হীরকখণ্ডটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ১৬৬৪ সালে ভারতে। স্পেনের রাজা চতুর্থ ফিলিপ তার মেয়ে ইনফানাটা মার্গারেটা টেরেসার সঙ্গে অস্ট্রিয়ার সম্রাট লিওপোল্ডের বাগদানের সময় এটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। ১৭৭২ সালে হাউস অব ব্রাভিয়া উইটেলবার্গ পরিবারের মধ্য দিয়েই এই হীরার নামকরণের ইতিহাস জন্ম নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এই হীরকখণ্ডটি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তারপর এ হীরকখণ্ডটি দীর্ঘকাল আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

হীরাটি সম্পর্কে বলা হয়, এটি যেমন সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয়। অল্প আলোতে দেখলে ধূসর ও নীল রংয়ের দেখায়, আর অতি-বেগুনী রশ্মিতে দেখলে এটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গাঢ় কমলা রংয়ের দেখা যায়। উল্লেখ্য, নিলামে এর প্রাথমিক দাম ১৫ মিলিয়ন ধরা হলেও গ্রাফ কিনেছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি দামে। প্রথমে ৩৫ দশমিক ৫ ক্যারেট থাকলেও পরে কাটার পরে এর নেট ওজন দাঁড়ায় ৩১ ক্যারেটে। জানা গেছে, ৪৫ দশমিক ৫২ ক্যারেটের পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হীরা 'হোপ'-এর সঙ্গে তুলনা করেই এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, এ হীরকখণ্ডটি এখন লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম বা অন্য কোথাও বিক্রি হয়ে যেতে পারে। আর এবার বিক্রি হলে পরে এ মূল্যবান রহস্যময় হীরকখণ্ডটি আবারও সেই একশ বছর লোকচক্ষুর অন্তরালে উধাও হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মেহেদী হাসান বাবু

0 comments:

Post a Comment