Saturday, January 29, 2011

মানুষখেকো গুহা

0 comments
গুহাও কি মানুষ খেতে পারে? ইতিহাস বলে পারে। গ্রিক ভূগোলবিদ স্ট্রাবো সর মতে, অ্যাপোলো দেবতার একটি মন্দির ছিল রহস্যময়। এই মন্দিরটি ছিল প্রাচীন গ্রিক শহর 'হিয়ারাপোলিস'-এ। সেই মন্দিরের কাছেই ছিল একটি গুহা। যার ভেতরে জন্তু-জানোয়ার ছুঁড়ে দিলে তারা আর বেরিয়ে আসত না। কোনো মানুষও যদি সেই গুহামুখ অতিক্রম করে সামান্য ভেতরে ঢুকত তারাও বেরিয়ে আসত না। পুরোহিতরা নিরাপদে ওই গুহায় ঢুকতে এবং বের হতে পারত। ওই গুহার ভেতর থাকার সময় তাদের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে যেত। প্রাচীন গ্রিকদের বিশ্বাস ছিল ওই গুহা হলো পরলোকে যাওয়ার পথ। সেখানে রাজত্ব করে অপদেবতারা। স্ট্রাবো এই পুঁথিটি লিখেছিলেন ২০০০ বছর আগে। এই প্রাচীন পুঁথির সূত্র ধরে নিউইয়র্ক কলেজের অধ্যাপক শেলডেন নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি মত প্রকাশ করেন, ওই গুহার নিচ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে আসত। ফলে মানুষ বা প্রাণী গুহার ভেতর শ্বাসকষ্টে মারা যেত। এই প্রাচীন গ্রিক শহরটি বর্তমানে পশ্চিম তুর্কির পাযুক্কালে শহর। সেখানে আছে প্রচুর উষ্ণ প্রসরণ। তার মধ্যে আছে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে এ থেকে উৎপন্ন হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড। বাষ্প এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড যে কোনো ফাটল দিয়ে ঢুকে যেত গুহার ভেতর। তাই কয়েক পা এগুলেই নিশ্চিত মৃত্যু। আরংসানের মতে, পুরোহিতরা দম বন্ধ করে থাকত বলে মারা যেত না। অ্যাপোলোর মন্দিরের সেই রহস্যময় গুহাটি এখনও আছে। কয়েক বছর আগে একদল অস্ট্রেলীয় ছাত্র ওই গুহার ভেতরে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এরপর থেকে তুর্কি সরকার গুহামুখে লোহার পাত বসিয়ে দিয়েছে । তানভীর উদ্দিন ড্যানি

0 comments:

Post a Comment