Saturday, October 10, 2009

জাদুর ভাত

0 comments
বাহ! চাল না ফুটিয়েই ভাত!

এ যে একেবারে ‘মেঘ না চাইতেই জলে’র মতো ব্যাপার!
ক্লান্ত হয়ে ফিরলেন বাইরে থেকে, রান্নাঘরে ঢুকলেন, একটি হাড়িতে চাল রেখে তাতে ঢেলে দিলেন পানি। ব্যাস! ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরই ভাত তৈরি! তাড়া আছে? তাহলে হাড়িতে দিন ফুটন্ত জল, ছেড়ে দিন চাল, পনের মিনিটেই সাদা সাদা ভাত প্রস্তুত! চুলো ধরানোর কোনো প্রয়োজনই নেই! তবে স্বাদটা আমাদের চেনা ভাতের মতো হবে তো?
এ রকমই একটি খবর বেরিয়েছে ৭ অক্টোবরের প্রথম আলোয়। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকের কেন্দ্রীয় চাল গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এ রকম এক ধরনের চাল উদ্ভাবন করেছেন, যা পানিতে ভেজালেই হয়ে যাবে ভাত।
সাদা সাদা ভাতের কথা ভাবলেই জুড়িয়ে যায় প্রাণ। আমাদের খেঁটে খাওয়া মানুষ একটি কাচা মরিচ আর লবণ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন অনেকগুলো ভাত। এই খাওয়াতে আনন্দ আছে বলেই তারা তা খান, এমন নয়, পুষ্টিকর খাবারের অভাবেই এ রকম খাদ্যাভাস গড়ে ওঠে। পানি ভাতের সঙ্গে শুকনো মরিচ আর একটা বাসী ইলিশের টুকরো পেলে কি অসাধারণ তৃপ্তি নিয়ে খিদে মেটানো যায়, তা কি নতুন করে বলার? ভাত-কাপড়ের যোগান থাকলে মানুষের প্রাথমিক মৌলিক চাহিদা মেটে, এর সঙ্গে বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগ হলে ভাবনা থাকে না আর।
নতুন এই উদ্ভাবনের খবরে মনে বয়ে যায় প্রশান্তির সুবাতাস। এতে তো জ্বালানি খরচও বেঁচে যায়! ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেই নাকি নতুন উদ্ভাবিত চালের চাষ করা সম্ভব। হয়ত বাংলাদেশেও ফলতে পারে এই শস্যকণা। বাজার থেকে চাল কিনে নেওয়াতেই যা কষ্ট, এরপর এই ভাত সরাসরি উঠে আসবে খাবার প্লেটে!
বিভিন্ন দেশে রয়েছে বিভিণ্ন খাদ্যাভ্যাস। কারো কাছে রুটি প্রধান খাদ্য, কারো কাছে ভাত। আমাদের বাংলা নামের এই ব-দ্বীপের মানুষেরা ভাতের সঙ্গেই মিতালি পাতিয়েছে। এখন চালের দাম একটু একটু বাড়ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চালের দাম থাকলে মানুয ভালো থাকে। চুলোয় ফোটানো ভাত হোক আর পানিতে ভিজিয়ে তৈরি ভাত হোক, তা সাধারণ মানুষের পাতে যেন পড়ে, সেটাই মূখ্য। আমরা ভাত নিয়ে কথা বলছি, যা খিদে মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে হূদয়ও জুড়ায়। সবার পাতে ভাত আছে, সে কথা ভাবলেই প্রফুল্ল হয়ে ওঠে মন। ভাত থাকুক সবার পাতে।
জা.রে.নূ

0 comments:

Post a Comment