একথা সবারই জানা যে, পৃথিবীর উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। মজার বিষয় হলো, আজ আমরা সাধারণভাবে যে তাপমাত্রা অনুভব করি, শুরুর দিকে অর্থাৎ পৃথিবীর বয়স যখন অনেক কম ছিল, তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা আজকের তুলনায় অনেক কম ছিল। তবে বিজ্ঞানীদের অভিমত, আদিকালে পৃথিবীর উষ্ণতা আজকের তুলনায় কম থাকলেও এতটা কম ছিল না, যে অবস্থায় পানি বরফে পরিণত হয়।
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সূর্যের আলোর তীব্রতা কম। তাই সেখানে ভূ-ত্বক বরফে মোড়া। পৃথিবীর অবস্থা কিন্তু তেমন ছিল না। তখন পৃথিবীর উষ্ণতা কম ছিল ঠিকই কিন্তু পানির অস্তিত্বও পৃথিবীতে ছিল। আর এ কারণে পৃথিবীতে প্রাণিজগতের উদ্ভব হয়।
ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, আমাদের চারপাশে যে নদী, পাহাড়, সমুদ্র ইত্যাদি আছে এদের উদ্ভব হাজার হাজার বছর আগে। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, মূলত বায়ুমণ্ডলের অধিক ঘনত্ব এবং গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো একীভূত হওয়ায় গোটা পৃথিবীর সব পানি জমে বরফে পরিণত হতে পারেনি। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্যই পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে প্রাণীর বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। উষ্ণতার তারতম্যের মতো তৎকালীন ও আজকের বায়ুমণ্ডলের চাপের মধ্যেও বিস্তর ফারাক আছে বলে জানান নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারের গবেষক সঞ্জয় সোম। বায়ুমণ্ডলের চাপের মাত্রা জানলে সেকালের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পারিপাশ্বর্িক অবস্থা সম্বন্ধে আরও স্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু তখনকার বায়ুমণ্ডলের বায়ুচপের সঠিক পরিমাপ কিভাবে পাওয়া যাবে? তখন তো আর বায়ুচাপ মাপক যন্ত্র ব্যারোমিটার আবিষ্কার হয়নি। মূলত জীবাশ্মের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পেঁৗছেন। সুতরাং একটি বিষয় সহজে অনুমান করা যায় যে, ছোট বয়সের পৃথিবী এবং আজকের পৃথিবীর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
*রকমারি ডেস্ক
0 comments:
Post a Comment