Monday, July 23, 2012

সাবাশ বাংলাদেশ

0 comments
স্বাধীনতার দুর্বার সংগ্রামকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে শাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি। ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাই তারা নির্বিচারে হত্যা করে অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আবদুল কাইয়ুমসহ অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়। নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুণ্ডু শাবাশ বাংলাদেশের নির্মাণকাজ শুরু করেন। নির্মাণকাজ শেষে হলে এর ফলক উন্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে ৪০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে, যেখানে রয়েছে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি। একজন রাইফেল উঁচু করে দাঁড়িয়ে আর তার বাঁ বাহুটি মুষ্টিবদ্ধ করে জাগানো। অন্যজন রাইফেল হাতে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছে। যার পরনে প্যান্ট, মাথায় এলোমেলো চুলের প্রাচুর্য, যা কি না আধুনিক সভ্যতার প্রতীক। এ দুজন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু একটি দেয়ালও দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালের ওপরের দিকে রয়েছে একটি শূন্য বৃত্ত, যা দেখতে সূর্যের মতো।

0 comments:

Post a Comment