Monday, July 30, 2012

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ

0 comments
অ্যান্টার্কটিকা একটি মহাদেশ। কুমেরু অর্থাৎ দক্ষিণ মেরু_এ মহাদেশে অবস্থিত। এই মহাদেশ পরিবেষ্টন করে আছে দক্ষিণ মহাসাগর (লক্ষণীয় : সুমেরুতে কেবল উত্তর মহাসাগর আছে কিন্তু জমি নেই)। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শুধু দক্ষিণতমই নয়, শীতলতম ও শুষ্কতম মহাদেশ। এর গড় উচ্চতা ও বায়ু প্রবাহবেগও মহাদেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক। অ্যান্টার্কটিকাকে একটি মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২০০ মিমি (৮ ইঞ্চি), তাও আবার কেবল উপকূলের কাছাকাছি। ভেতরের দিকে এ পরিমাণ আরো কম। সেখানে স্থায়ীভাবে মানুষ বাস করে না, তবে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গবেষণা স্টেশনে এক থেকে পাঁচ হাজার মানুষ বছরের বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। প্রবল শৈত্যের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীই_এ মহাদেশে টিকে থাকতে সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে পেঙ্গুইন, সিল, নেমাটোড, টার্ডিগ্রেড, মাইট, বিভিন্ন প্রকার শৈবাল ও অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজম এবং তুন্দ্রা উদ্ভিদগুলো। এ মহাদেশটি মানুষের চোখে ধরা পড়ে ১৮২০ সালে। রুশ অভিযাত্রী মিখাইল লাজারেভ ও ফাবিয়ান গটলিয়েব ফন বেলিংসেন সর্বপ্রথম এ মহাদেশের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। তবে উনিশ শতকের বাকি অংশজুড়ে অ্যান্টার্কটিকা বিস্মৃতি অবস্থায়ই রয়ে যায়। যার কারণ ছিল মহাদেশটির চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের অপ্রতুলতা ও বিচ্ছিন্নতা। অ্যান্টার্কটিকা নামটির প্রথম আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেন স্কটিশ কার্টোগ্রাফার জন জর্জ বার্থলোমে।
১৯৫৯ সালে ১২টি দেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়; যাতে বর্তমানে ৪৬টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক কর্মকাণ্ড ও খনিজসম্পদ খনন নিষিদ্ধ, বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সহায়তা এবং মহাদেশটির ইকোজোন সুরক্ষিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের চার হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

0 comments:

Post a Comment