Monday, July 23, 2012

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রথম ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী

0 comments
ডান হাতে গ্রেনেড, বাঁ হাতে রাইফেল। লুঙ্গি পরা, খালি গা, খালি পা আর পেশিবহুল এক মুক্তিযোদ্ধার এ ভাস্কর্যটি গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত এ ভাস্কর্যটির নাম 'জাগ্রত চৌরঙ্গী'। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শাপলার ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক এই জাগ্রত চৌরঙ্গী ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। ১৯৭৩ সালে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত এটি বাংলাদেশের প্রথম ভাস্কর্য। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গাজীপুরের স্থানীয় জনগণের একটি প্রতিরোধ যুদ্ধে ২০ জন শহীদ হন। যদিও সরকারি বিবৃতিতে তিনজন মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। প্রতিরোধ যুদ্ধে এই শহীদদের অবদান ও আত্মত্যাগকে জাতির চেতনায় সমুন্নত রাখতে জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপত্যকর্মটি নির্মাণ করা হয়। বেদিসহ জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা প্রায় ৪২ ফুট। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির ওপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাম হাতে রাইফেল। কংক্রিট, গ্রে-সিমেন্ট, হোয়াইট সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ৩ নম্বর সেক্টর ও ১১ নম্বর সেক্টরের শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ করা আছে। এই ভাস্কর্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতিচিত্র।

0 comments:

Post a Comment