১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই যাত্রা শুরু করে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার আগে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের গা ঘেঁষে মতিহারের মনোরম পরিবেশে এটি অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট দিয়ে ঢোকার মুখেই পড়ে পামগাছের সারি। বাঁয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত শিল্পী নিতুন কুণ্ডুর 'শাবাশ বাংলাদেশ' ভাস্কর্যটি। এর পাশেই আছে সিনেট ভবন। প্রশাসন ভবনের সামনে গোল চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন '৬৯-এর শহীদ ড. শামসুজ্জোহা। ফরাসি স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত তিনতলার প্রশাসনিক ভবনের দুই দিকেই আছে বিখ্যাত প্যারিস রোড। রাস্তাটির দুই পাশের গগণ শিরীষের সারি সবাইকে মোহিত করে। ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুন্দর স্থান হলো শহীদ মিনার চত্বরটি। এখানকার শহীদ মিনারের নকশায় প্রকাশ পেয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি। মুর্তজা বশীরের অনবদ্য রিলিফ একে অন্য মাত্রা দিয়েছে। এ চত্বরেই আছে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর 'শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা'। তার সামনেই নাটকের জন্য মুক্তমঞ্চ। আর বিপরীত পাশে আছে চিত্র প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত গ্যালারি। আধুনিক তুর্কি স্থাপত্যসমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অবস্থানও এখানে। ছাত্রাবাস ১৬টি_ছেলেদের ১১টি, মেয়েদের পাঁচটি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন আছে ক্যাম্পাসের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে। এ ছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ গ্রন্থাগার, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বিজ্ঞানের চারটি, বাণিজ্যের একটি এবং কলার চারটি বড় ভবনসহ অসংখ্য স্থাপনা।
লেখা : উদয় শংকর বিশ্বাস
0 comments:
Post a Comment