Sunday, July 15, 2012

উত্তরা গণভবন, নাটোর

0 comments
নাটোর শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এককালের দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থানই বর্তমানে উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস। সাড়ে ৪১ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত প্রাসাদটি পরিখা ও উঁচু প্রাচীর ঘেরা। প্রাসাদের পূর্বপাশে পিরামিড আকৃতির চারতলা প্রবেশদ্বার রয়েছে, যা ওপরের দিকে সরু হয়ে গেছে। প্রাসাদের পেছন দিকে রয়েছে ফোয়ারাসহ একটি সুদৃশ্য বাগান। বাগানের এক কোণে রয়েছে প্রমাণ আকৃতির মার্বেল পাথরের তৈরি একটি নারী মূর্তি। প্রাসাদের মূল অংশ এবং সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদা নাথ রায়ের আমলে ১৮৯৭ সালের ১০ জুন নাটোরের ডোমপাড়া মাঠে তিন দিনব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের এক অধিবেশন আয়োজন করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এ অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অধিবেশনের শেষ দিন ১২ জুন প্রায় এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। পরে রাজা প্রমদা নাথ রায় ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর্ম শিল্পী আর দেশি মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির ওপর এ রাজবাড়ীটি পুনর্নির্মাণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় দিঘাপতিয়ার রাজা বাড়িটি ফেলে ভারত চলে যান। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বাড়িটির নাম পরিবর্তন করে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।



0 comments:

Post a Comment