Saturday, July 21, 2012

কুতুবদিয়া বাতিঘর

0 comments
রাতের বেলা জাহাজের নাবিকদের পথের সংকেত প্রদর্শনের জন্য সমুদ্র উপকূলে উঁচু টাওয়ার নির্মাণ করে তার ওপরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। আর সংকেত প্রদানকারী এই টাওয়ারটিই হলো বাতিঘর। বাংলাদেশের এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাতিঘর হলো কুতুবদিয়া বাতিঘর। রাতের বেলা বঙ্গোপসাগরে চলাচলকারী জাহাজকে সংকেত প্রদর্শনের জন্য এই বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। কর্ণফুলী মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়া দ্বীপে এটি নির্মিত হয়। ক্যাপ্টেন হেয়ারের পরিচালনা ও ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নির্দেশনায় এই বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। পাথরের ভিত্তির ওপর বসানো এই বাতিঘরের উচ্চতা ১২১ ফুট। ১৮৪৬ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। বাতিঘরটি নির্মাণে সেই সময়ে ব্যয় হয় চার হাজার ৪২৮ টাকা। পাকিস্তান আমলে লোহা দিয়ে একটি টাওয়ার বানিয়ে তার ওপর আধুনিক বাতিঘর স্থাপন করে প্রাচীন বাতিঘরটি বাতিল করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও ক্রমাগত ভাঙনের ফলে পরিত্যক্ত বাতিঘর ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ও সামুদ্রিক এলাকায় মোট পাঁচটি বাতিঘর আছে।

0 comments:

Post a Comment