Monday, August 2, 2010

আচার ভালো রাখার উপায়

1 comments

                                                          ০০ সুমাইয়া রীতি ০০
আচার খেতে কে না পছন্দ করে। ছেলে বুড়ো সবাই। আর ছোটদের বেলায় তো কথাই নেই। কিন্তু আচার খাওয়াটা যেমন আনন্দের তা সংরক্ষণ করাটা ঠিক তেমনি কষ্টের। ভালমতো আচার সংরক্ষণ করতে না পারলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। মূলত বর্ষা কালেই আচার বেশি নষ্ট হয় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে। এছাড়া আচারে পানি থাকলে বা লবণ কম পড়লে অনেক সময় আচার নষ্ট হয়ে যায়। তাই আচার তৈরি করার সময় এই বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই নজর দিবেন।

আচার সংরক্ষণ

সাধারণত টক জাতীয় ফলমূলে পানি বা বাতাসের উপস্থিতিতে ঈবট বা ছত্রাক জš§ায় এবং ফলের স্বাভাবিক স্বাদ ও ধর্ম নষ্ট করে ফেলে। আমাদের দেশে দেশীয় প্রায় সব প্রকার ফলেরই টক মিষ্টি ঝাল আচার অথবা মোরব্বা মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।

আচারকে পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেই অনেকদিন ধরে তা সংরক্ষণ করা যাবে। কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই খাদ্যদ্রব্য পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

০০ সংরক্ষক দ্রব্যঃ লবণ চিনি সিরকা বা ভিনেগার মসলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি আচার বেশ কয়েক বছর ভাল থাকে।

০০ কড়া রোদে বরই, তেঁতুল, আমসত্ব, খেজুর, আঙ্গুর শুকিয়ে নিলে তা বায়ূশূণ্য কৌটায় রেখে দিলে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

০০ হালকাভাবে সিদ্ধ করা জলপাই, কাঁচা আম, চালতা ফ্রিজের আইস চেম্বারে রেখে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

০০ পুরোপুরি সিদ্ধ করে টক পানি ফেলে বায়ূশূণ্য বোতলে ভরে ফলমূল অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

শুধুমাত্র মুখের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই নয় অসময়ে খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণ খাদ্য ঘাটতি পূরণের জন্য ও সঠিকমাত্রায় সারা বছর আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্যও আমাদের সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি জানা আবশ্যক।

1 comments:

Post a Comment