Friday, August 6, 2010

ভারতীয় মুসলমানদের বঞ্চনা

0 comments
                                                        ০০ সাহাদত হোসেন খান
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০০৪ সালের মে-জুনে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার ১৫-দফাভিত্তিক সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মসূচি পুনরায় চালু করে। ১৯৮৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষার উন্নয়নে এ কর্মসূূচি গ্রহণ করেছিলেন। ইউপিএ সরকার ৯০টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় (এমসিডি) ২ হাজার ৭৫০ কোটি রুপি ব্যয়সাপেক্ষ বহুল প্রত্যাশিত বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা (এমএসডিপি) ঘোষণা করে। কিন্তু এসব কর্মসূচি গ্রহণ করার সাত বছর পরও ভারতের সংখ্যালঘুরা নিজেদেরকে প্রতারিত মনে করছে। প্রখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত ও নিখিল ভারত মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) মহাসচিব মাওলানা ওয়ালি রহমানি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘মুসলমানদের নিয়ে নোংরা খেলা বন্ধ করো। বিগত ৬৩ বছরে তোমরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছো। কিন্তু পূরণ করেছো খুব সামান্য।’

ভারতীয় মুসলমানদের কাছে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার তালিকা অনেক দীর্ঘ। এসব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মধ্যে রয়েছে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশন রিপোর্ট। এ রিপোর্র্টে শিক্ষা ও চাকরিতে মুসলমানদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ এবং মুসলমান ও খ্রিস্টান দলিতদের তফসিলি সম্প্রদায়ের (এসসি) তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এআইএমপিএলবি’র সিনিয়র সদস্য ও এডভোকেট জাফরইয়াব জিলানি বলেন,‘ ৯০টি এমসিডি’র একটিতেও একটি স্কুল অথবা শিল্প স্থাপন করা হয় নি।’ বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস সরকার এবং বর্তমানে ইউপিএ সরকার সংখ্যালঘুদের কল্যাণে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে নি। উত্তর প্রদেশের জমিয়ত-ই-ইসলামি হিন্দের সভাপতি মোহাম্মদ আহমদ বলেছেন, ‘কেন্দ ীয় সরকার যত খুশি প্রচারণা চালাক, কিন্তু তাদের ওপর সার্বিকভাবে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানদের কোনো আস্থা নেই।’

সাচার কমিটি তাদের রিপোর্টে ভারতের সংখ্যালঘুদের দুর্দশার করুণ চিত্র তুলে ধরার পর এমসিডি ও এমএসডিপি ধারণা জš§ নেয়। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের নির্দেশে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৯০টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা চিহ্নিত করে। এসব জেলার মধ্যে ৭২টি হলো মুসলিম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ভারতীয় সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল এবং এ কাউন্সিলের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে জরিপ চালানো হয়। তারপর এমএসডিপি কর্মসূচি চালু করা হয়। কেন্দ ীয় সরকার এ কর্মসূচির জন্য একাদশ পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনায় (২০০৭-১২) ৩ হাজার ৭৮০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। উন্নয়নে বৈষম্য দূরীকরণে ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৫৬২ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে বড়জোর ৫ শতাংশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এ বছর সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৬ শ কোটি রুপি মঞ্জুর করেছে।

ভারতের উত্তর প্রদেশে মুসলমানদের বসবাস বেশি। এ রাজ্যে মুসলিম প্রধান জেলার সংখ্যা ২১টি, আসামে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গে ১২টি, বিহারে ৭টি, মনিপুরে ৬টি, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ডে চারটি করে, উত্তরখন্ড, মিজোরাম ও কর্ণাটকে দু’টি করে এবং বাদবাকি রাজ্যগুলোতে একটি করে মুসলিম প্রধান জেলা রয়েছে। সংখ্যালঘুদের নামে গৃহীত কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় মুসলমানরা হতাশ।

লক্ষেèৗভিত্তিক গিরি ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক এ. কে. সিং বলেছেন, শুরুতে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দিয়েছিল যে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে বিদ্যমান অবকাঠামোগত ঘাটতি পূরণ করাই এমএসডিপি কর্মসূচির লক্ষ্য। কিন্তু কেন্দ ীয় বাজেটের পরিমাণ নগণ্য হওয়ায় নতুন ও উন্নততর অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এমএসডিপি’কে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের কল্যাণমূলক কর্মসূচি হিসাবে উপস্থাপন করায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সমালোচকগণ এমএসডিপি কর্মসূচির আওতায় অঙ্গনাবাদী সেন্টার ও ইন্দিরা আওয়াজ ইউনিট গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন্দ ীয় সরকার ইতিমধ্যে এসব প্রকল্পের জন্য পৃথক তহবিল বরাদ্দ করেছে। লক্ষেèৗর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. সাগর জানিয়েছেন, লক্ষেèৗতে ৭৩ টি ইন্দিরা আওয়াজ ইউনিট এবং ৫২ টি অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩১টি হেলথ সাব-সেন্টার নির্মাণের একটি পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ অপর্যাপ্ত হওয়ায় নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। একাদশ পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নকালে ৩ হাজার বসত বাড়ি, ১২২ টি অঙ্গনাবাদী সেন্টার ও ৯৪ টি হেলথ সাব-সেন্টার নির্মাণ করার একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় মাত্র দেড় হাজার বসত বাড়ি এবং ৬০টি অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণের তহবিল সরবরাহ করায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তহবিল সরবরাহে কেন্দ ীয় ও রাজ্য সরকারের আনুপাতিক হার যথাক্রমে ৭৫ ও ২৫। উল্লেখিত প্রকল্পে কেন্দ ীয় সরকারের হিস্যা ছিল এক শো শতাংশ। হেলথ সাব-সেন্টার নির্মাণের অর্থ যথেষ্ট বিবেচিত না হওয়ায় লক্ষেèৗর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. সাগর বরাদ্দ বৃদ্ধি অথবা লক্ষ্যমাত্রা হ্রাসের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেন।

উত্তর প্রদেশ প্রশাসন সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য ১৩টি সরকারি ইন্টার কলেজের প্রতিটিতে চারটি করে অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ এবং সরকারি গার্লস কলেজে একটি করে কম্পিউটার সেল নির্মাণ করা হয়। মুসলিম প্রধান এলাকা মালিহাবাদে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ কোটি ১৫ লাখ রুপি। তবে তহবিল এখনো বরাদ্দ করা হয়নি। পাটনাভিত্তিক আল-খায়ের দাতব্য ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত রাইট টু ফুড কমিশনারের পাঁচ জন উপদেষ্টার অন্যতম আরশাদ আজমল বলেছেন,‘এসব সেন্টার সংখ্যালঘুদের উপকারে আসবে কিভাবে? কেননা এগুলো এমএসডিপি চেতনার পরিপন্থি।’ তিনি বলেন, যে এলাকায় ৪০টির বেশি শিশু রয়েছে সেখানে সরকার একটি অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণে বাধ্য। তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে এমএসডিপির আওতায় এসব সেন্টার নির্মাণে বিশেষত্ব কোথায়?

এমনকি এসব অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণের সুবিধা সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছছে না। লক্ষেèৗ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে মালিহাবাদ এলাকায় সাগ্রাউনা নামে মুসলিম প্রধান একটি গ্রামে ইন্দিরা আওয়াজ যোজনা কর্মসূচির আওতায় গৃহীত এককক্ষ বিশিষ্ট বসত বাড়ির সুবিধাভোগীদের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে মাত্র একজন মুসলমান। তার মানে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য নির্মিত বসত বাড়ির মাত্র ২০ শতাংশ পাবে সংখ্যালঘু মুসলমানরা। যেসব গ্রামে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি সেসব গ্রামে অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু এসব সেন্টার নির্মাণে তহবিল বরাদ্দে বৈষম্যের একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। ৪১ দশমিক ১৪ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বিহারের আরারিয়া জেলায় ৩ শ’ নয়া অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দাড়ভাঙ্গায় নির্মাণ করা হবে ২শ’। উত্তর প্রদেশে ৪৯ দশমিক ১৪শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত রামপুরে ৫শ’ অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লাখ ৯৫ হাজার রুপি এবং পুরো ব্যয় বহন করবে কেন্দ ীয় সরকার। একইভাবে ৬৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বিহারের কিষাণগঞ্জে ৫৯৪টি অঙ্গনাবাদী সেন্টার নির্মাণ করা হবে। উত্তর প্রদেশের ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ মুসলিম জনবহুল বাদাউনে নির্মাণ করা হবে এক হাজার ইন্দিরা আওয়াজ ইউনিট। মনিপুরের তামেংলং জেলায় এক হাজার ৯ শ’ নয়া ইন্দিরা আওয়াজ ইউনিট নির্মাণ করা হবে। অন্যদিকে থাওবলে নির্মাণ করা হবে ২ হাজার।

মুসলিম নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন যে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসব স্কীম ও প্রকল্প চূড়ান্ত করেন। পরে রাজ্য ও কেন্দ ীয় সরকার সেগুলো অনুমোদন করে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন করার আগে বা পরে মুসলিম নেতৃবৃৃন্দের মতামত গ্রহণ করা হয় না। এমনকি স্থানীয় জনগণের প্রয়োজনও বিবেচনায় নেয়া হয় না। এ ধরনের উপেক্ষা ও উদাসীনতা প্রদর্শন করায় সংখ্যালঘুরা উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাওলানা ওয়ালি রহমানী বিষয়টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। এসব স্কীমের ভাগ্য সম্পর্কে অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অবকাঠামো, পয়ঃনিষ্কাশন ও শিক্ষার মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকার কোটি কোটি রুপি ব্যয় করছে। পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে থাকায় প্রকল্পগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। পাটনাভিত্তিক এএন সোশাল স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও সমাজ বিজ্ঞানী ডি এম দিবাকর বলেছেন, ‘আমরা এমএসডিপি’র মাধ্যমে এমসিডি’তে যে কোনো ধরনের পরিবর্তনের ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী নই। কেননা পরিকল্পনা ভালো হলেও বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব রাজ্যের আমলাতন্ত্রের হাতে। রাজ্যের আমলারা অতীতে দরিদ্রদের জন্য কল্যাণমূলক কয়েকটি প্রকল্পের ব্যর্থতার জন্য দায়ী।’ রাজ্য সরকারের সৃষ্ট বহুস্তর বিশিষ্ট আমলাতন্ত্র, মুখ্য সচিব, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলার সংখ্যালঘু কল্যাণ অফিসার ইত্যাদি স্কীমগুলোর বাস্তবায়নে পদ্ধতিগত বিলম্ব ঘটায় এবং সংশ্লিষ্টদের কাউকে এককভাবে জবাবদিহি করতে হয় না।

সমালোচকগণ বলছেন, সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি অথবা সুুবিধাভোগী কারো মতামত গ্রহণ করায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অকংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীদের সূচিত সংখ্যালঘুদের কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচির ব্যাপারে অধিক উদ্বিগ্ন। ইউপিএ সরকারের সঙ্গে বরাবর বিরোধে লিপ্ত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী সর্বজনহিত (সবার জন্য কল্যাণ) প্রকল্পের প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার জন্য রাজ্যের আমলাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এখনো দু’বছর বাকি। তাই মায়াবতী তার সরকারকে সংখ্যালঘুদের প্রতি ইউপিএ সরকারের চেয়ে বেশি সহানুভূতিশীল হিসাবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার তার নিজের ১০-দফা মাইনোরিটি ওয়েলফেয়ার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে খুবই উদ্বিগ্ন। ২০০৮ সালে তিনি এ কর্মসূচি চালু করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার এমএসডিপি’কে একটি আইওয়াশ এবং পুরনো বোতলে নয়া মদ্য হিসাবে আখ্যায়িত করে ইতিমধ্যে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে একটি ফ্রন্ট খুলেছে। বামফ্রন্ট সরকার এমসিডি এক্তিয়ার বহির্ভূত পাঁচটি জেলায় সংখ্যালঘুদের কল্যাণে বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এসব জেলার জন্য ৮২ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত না করায় এবং সংশ্লিষ্ট জনগণের পরামর্শ গ্রহণ না করায় তারা অপমানিত বোধ করছে।

অশুভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণ এখনো সুদূরপরাহত। এমএসডিপি কর্মসূচি ব্যর্থ হলে রাজনীতিকরা সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করার আরেকটি সুযোগ পাবেন।
০০ সূত্র; ইন্ডিয়া টুডে

0 comments:

Post a Comment