Sunday, August 29, 2010

ল্যুভর মিউজিয়াম, ফ্রান্স

0 comments
পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। পৃথিবীতে কিছু বিখ্যাত জাদুঘর আছে, এগুলোকে দেখার জন্য মানুষ সবসময় মুখিয়ে থাকে। সেগুলো যেমন বিভিন্ন দেশে, তেমনি সবাই এ জাদুঘর দেখার সুযোগটুকু পায় না।

প্যারিসকে বলা হয় অর্ধেক নগরী তুমি অর্ধেক কল্পনা। এ কল্পনা রাজ্যেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য জাদুঘর ল্যুভর। ল্যুভর ছাড়াও অবশ্য আরো কিছু বিখ্যাত জাদুঘর ফ্রান্সে রয়েছে। সে কথায় পরে আসছি। এখন শোনো ল্যুভরের কথা।

পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুঘরগুলোর মধ্যে প্রথমে নাম বলতে গেলে বলতেই হয় ল্যুভরের কথা। এটি এক সময় দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হত। এক সময় ল্যুভর ফ্রান্সের রাজপ্রাসাদ হিসেবেও ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে এই জাদুঘরটির সামনে কাঁচের তৈরি পিরামিড বসিয়ে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। তবে এর ইতিহাস কিন্তু এতে একটুও বদলে যায়নি। এ জাদুঘরে প্রাচীন সভ্যতার শুরু থেকে আধুনিক সভ্যতার অনেক কিছুই রাখা আছে।

এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসটি কিন্তু বেশ দীর্ঘ। বিভিন্ন রাজা-রাজরার শাসনকাল পেরিয়ে ষোড়শ লুই একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুসারে ১৭৯৩ সালে তিনি এ জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই 'ল্যুভর' ধীরে ধীরে শিল্পের প্রাসাদ হিসেবে গড়ে উঠতে থাকে। এখানে সংগৃহীত আছে পৃথিবী খ্যাত বহু ছবি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত পর্যটকদের কাছে ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ 'দ্য ল্যুভর' । বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির নাম শুনেছ তো? ওই যে বিখ্যাত 'মোনালিসা' ছবিটি এঁকেছিলেন যিনি। এই শিল্পীর আঁকা মোনালিসাসহ বেশক'টি বিখ্যাত ছবি রাখা আছে ল্যুভরে। তাইতো প্যারিসকে বলা হয় 'মোনালিসার শহর'।

ল্যুভরের তিনটি উইং, ডেনন, সুলি ও রিচেলিউ। এর ফ্লোর রয়েছে চারটি। মোনালিসার অবস্থান ডেনন উইংয়ের দোতলায়। দর্শনীয় বস্তুর স্থাপনা অনুযায়ী নিচতলার ডেনন উইংয়ে রয়েছে ইউরোপীয়, ইতালীয় ও স্প্যানিশ ভাস্কর্য, মিসরীয় পুরাকীর্তি এবং গ্রিক ও রোমান পুরাকীর্তি। সুলি উইংয়ের কিছু অংশে রয়েছে প্রাচ্যের নিদর্শন এবং কিছু অংশে গ্রিক ও মিসরীয় নিদর্শন। রিচেলিউ উইংয়ের বড় অংশজুড়ে রয়েছে ফরাসি ভাস্কর্যের বিশাল সমাহার।
আমিন রহমান নবাব

0 comments:

Post a Comment