Sunday, August 29, 2010

মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক মার্কেট

0 comments
মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় ব্যবসায়ীরা দোকানদারি করে যাচ্ছে। জানা যায়, ১৯৯৮ সালে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন মার্কেটটি পরিপূর্ণ না করে ২০০৫ সালে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে দেয়। যখন ব্যবসায়ীরা মার্কেট বুঝে নেয় তখন প্রধান গেট দেয়া ছিল না, ছিল না কোনো বাথরুমের ব্যবস্থা, কোনো কলাপসিবল গেট ছিল না এমনকি দোকানের সার্টারগুলোও ঠিকমতো লাগানো ছিল না। অন্যদিকে, প্রথম ধাপে ৮০টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে দোকান ছোট করে ১১৪টি দোকান করা হয় এবং তৃতীয় ধাপে আরো ছোট করে ১৩৪টি দোকান করা হয় অর্থাৎ, বিভিন্ন সরকারের আমলে ধাপে ধাপে মোট ৮০টি দোকান ভেঙ্গে ১৩৪টি দোকান করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানায়, মার্কেট সংলগ্ন শহীদ পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে ১৪৩জন দোকানমালিকের অর্থায়নে নির্মিত হয়। মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি আক্তার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নূরনবী সবুজ বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্মিত অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এই মার্কেট পার স্কয়ারফিট ১০ টাকা ধার্য করে, যা অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় বেশি। তারা অভিযোগ করেন ডিসিসি মার্কেট তৈরির পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো তদারকি কিংবা কোনো পাহারাদারের ব্যবস্থা রাখেনি। অথচ প্রতি মাসে সকল প্রকার রাজস্ব তারা কড়ায়গন্ডায় বুঝে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম কোনো সুযোগ-সুবিধা ডিসিসি থেকে এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের দক্ষিণ পাশের গেটটি বন্ধ করে দেয়াল করে দেওয়ার কারণে মার্কেটটি অন্ধকার হয়ে পড়েছে। ক্রেতাগণ সহজে আসতে পারে না। তারা দক্ষিণ পাশের গেটটি অবমুক্ত করার দাবি জানান। অন্যদিকে বাথরুম ব্যবস্থাসহ কলাপসিবল গেট না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে মার্কেট খোলা রাখতে হচ্ছে। রাতের বেলায় ব্যবসায়ীদের ভয় থাকে কখন কোন অঘটন ঘটে যায়। কাজেই ডিসিসির প্রতি তাদের প্রধান দাবি দক্ষিণপাশ অবমুক্ত ও কলাপসিবল গেটের ব্যবস্থাসহ বাথরুমের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই মার্কেটে রেডিমেড গার্মেন্টস-এর দোকানসহ, থান কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গি, মোবাইলের যন্ত্রাংশ ও জুতার দোকান রয়েছে।
০০ হামিদুল করিম ০০

0 comments:

Post a Comment