বিশ্বব্যাপী মাদকদ্রব্যের সর্বনাশা ছোবলের ইতিহাস অনেক পুরনো। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম থেকে এশিয়া মহাদেশের উপর এই ছোবলের কালো ছায়া বিস্তার লাভ করে এবং বর্তমানে তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাদক দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর ধরনেরও প্রসার ঘটেছে ব্যাপক হারে। মদ, গাঁজা, আফিম, চরস, মারিজুয়ানা, হেরোইন ইত্যাদি পুরাতন মাদক দ্রব্যের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে প্যাথিডিন ও ফেনসিডিলের মত জীবন রক্ষাকারী ঔষুধও। আমাদের দেশে মূলত: ৮০'এর দশক থেকেই মাদকদ্রব্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক রূপ নেয়। এক শ্রেণীর বিপথগামী তরুণ / তরুণী উল্লেখিত মাদকের সঙ্গে ব্যাপকহারে জড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য মাদক দ্রব্যের মধ্যে ফেনসিডিল নামক ওষুধ জাতীয় দ্রব্যটির ব্যবহার এখন সবার শীর্ষে। অথচ এই ফেনসিডিল এক সময় এ দেশসহ আশেপাশের দেশগুলোতে ব্যবহৃত হতো জীবন রক্ষার তাগিদে। তখন কেউ জানত না যে এটি মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। ফেনসিডিল সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য এখানে উল্লেখ করা হল:
PHENSEDYL থেকে ফেনসিডিল
ইংরেজি Phensidyl শব্দ থেকেই ফেন্সিডিল নামকরণ করা হয়েছে। ঋঅঘঈণ'র আভিধানিক বা আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে স্থুল কল্পনা বা কল্পনা শক্তি, কল্পিত বস্তু বা মূর্তি, খোশ-খেয়াল, অসাড় কল্পনা, খেয়ালী পছন্দ, শখ, রুচি, কল্পনা বা খোশ-খেয়াল চরিতার্থ করে এমন অথবা কল্পনা বা খোশ খেয়াল থেকে প্রসূত সাময়িক আকর্ষণ, নিজের সম্পর্কে ভুল ধারণা করা ইত্যাদি। সুতরাং ঋঅঘঈণ শব্দের অর্থই ফেনসিডিলের কার্যকারিতা সম্পর্কে ইঙ্গিতদানে যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।
ফেনসিডিল কি ও কেন : আজ থেকে প্রায় ২৬ বছর পূর্বে ফেনসিডিল ছিল কেবলই একটা সাধারণ কাশির ওষুধ বা ঈড়ঁময ঊষরীরৎ। এদেশে ফেনসিডিল উৎপাদন বা আমদানির বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান নেই। ১৯৮৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশের মে এন্ড বেকার নামে একটি প্রতিষ্ঠান ফেনসিডিল বাজারজাত করত, কিন্তু ওই বছর দেশের জাতীয় ওষুধ নীতির আওতায় এটিকে নেশার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কায় সরকার ফেনসিডিল বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু রোন পুল্যাংক নামে একটি ভারতীয় বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নীলরঙা লেবেলে ১২৫ মিলিলিটারের ক্ষুদ্র বোতলে ফেনসিডিল বাজারজাত অব্যাহত রাখে। যার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ভারতীয় প্রায় ৯০ রুপি।
ফেনসিডিল কি দিয়ে তৈরি : ফেনসিডিল তৈরির উপাদান হিসেবে মূলত ৩টি কেমিক্যালের নাম জানা যায়। এগুলো হচ্ছে_ (১) কোডিন ফসফেট, (২) প্রমিথিজিন হাইড্রোক্লোরাইড ও (৩) ইফিড্রিন হাইড্রোক্লোরাইড। এর মধ্যে কোডিন ফসফেট হচ্ছে মরফিন-প্যাথেডিন গ্রুপের সিনথেটিক ডেরিভেটিভ এবং এটিতেই রয়েছে নেশার উপাদান।
কোথা থেকে কিভাবে আসে : ফেনসিডিলের মূল এবং একমাত্র উৎস হল ভারত। অবৈধ পাচার প্রতিরোধে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় (!) দেশের প্রতিটি সীমান্ত হয়ে বিভিন্ন উপায়ে এই ফেনসিডিল আসে। সীমান্ত এলাকা থেকে সাধারণত ট্রাক-বাসের টুলবঙ্, কেবিন ও লাগেজবঙ্ েফেনসিডিল দেশের সব অঞ্চলে পেঁৗছে যায়। এক্ষেত্রে আরেকটি সুবিধাজনক পদ্ধতি আছে, সেটি হল প্লাষ্টিকের জেরিকেন। লুজ ফেনসিডিল জেরিকেনে করে নিয়ে এসে পরে বোতলজাত এবং বিক্রি করা হয়। এই পদ্ধতিতে যশোর থেকে কুষ্টিয়া-ফরিদপুর হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে মাছের ট্রলার বা ডিজেল বোটের মাধ্যমে বেশিরভাগ ফেনসিডিল আসে। ফেনসিডিল পরিবহনের এই রুটকে ব্যবসায়ীরা বলে কাটালাইন। এছাড়া মাছের পোনা ও বীজভর্তি মাটি ও এলুমিনিয়ামের হাঁড়ি বা জারের মধ্যেও ফেনসিডিল আনা হয় বলে জানা গেছে।
কারা খায় : বিশেষত শিক্ষিত তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যেই ফেনসিডিলের ব্যবহার অধিক। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী এই নেশায় ব্যাপকভাবে আসক্ত। তবে দেশের বেকার শ্রেণীর হতাশাগ্রস্ত একটি বৃহৎ অংশ ফেনসিডিল ব্যবহারের মাধ্যমে সাময়িক সুখ (!) লাভের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
এ ব্যবসায় জড়িত কারা : প্রকৃতপক্ষে দেশপ্রেম বিবর্জিত অসাধু ব্যবসায়ীরাই এই ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া তুলনামূলক অশিক্ষিত লোকজনই ফেনসিডিল বিক্রি করে থাকে। মহিলারাও এই নেশা ও পেশার সঙ্গে সমানভাবে জড়িয়ে পড়েছে। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও বিশিষ্ট অনেক ব্যক্তিবর্গের মধ্যেও ফেনসিডিলের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে আজকাল।
ফেনসিডিল থেকে ডাইল : ভক্তদের দেওয়া বিচিত্র সব নাম ও উপমার ভিড়ে নেশার ফানুস ফেনসিডিল যেন তার আসল নাম হারিয়ে ফেলেছে। ফেনসিডিল এখন পরিচিত প্রধানত 'ডাইল' নামে। ফেনসিডিলকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে তা থেকে 'ফেনসি' বাদ দিয়ে মূলত এই নেশাদ্রব্যটির নাম হয়ে গেছে 'ডাইল'। এছাড়া ফেনসি, মাল, জিনিস, ফ্যান, টাকুর, নফে ইত্যাদি নামেও এটি বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত। তবে 'ডাইল'ই ফেনসিডিলের বর্তমানে একমাত্র সর্বপরিচিতি ও সর্বজ্ঞাত নাম। আসুন সবাই মিলে এই মরন নেশা ফেনসিডিলকে না বলি।
বিষয় সমূহ
- Animal (67)
- Artical (29)
- Education (79)
- Fitness (19)
- Food (40)
- Game (12)
- Hijra(হিজড়া) (7)
- Journalism (23)
- Law (19)
- Liberation War(মুক্তিযুদ্ধ) (34)
- Love Effect (26)
- Mosque (42)
- Music (16)
- Nobel Prize (5)
- Organization (30)
- Others (56)
- Plants(গাছ-পালা) (29)
- Politics(রাজণীতি) (22)
- Scandal Religion (1)
- Tribe (8)
- Violence (16)
- Wikileaks (3)
Like for Update
64 Districts
- Bagerhat (4)
- Bandarban (3)
- Barisal (3)
- Bhola (3)
- Bogra (11)
- Brahmanbaria (2)
- Chandpur (4)
- Chapai Nawabganj (2)
- Chittagong (6)
- Comilla (2)
- Cox's Bazar (13)
- Dhaka (65)
- Dinajpur (6)
- Faridpur (1)
- Feni (1)
- Gaibandha (1)
- Gazipur (3)
- Gopalgonj (2)
- Habiganj (2)
- Jamalpur (4)
- Jessore (3)
- Jhenidah (2)
- Khagrachari (1)
- Khulna (3)
- Kishorgonj (2)
- Kurigram (1)
- Kushtia (3)
- Lalmonirhat (2)
- Madaripur (3)
- Magura (1)
- Manikgonj (1)
- Meherpur (2)
- Moulvibazar (14)
- Munsiganj (3)
- Mymensingh (5)
- Naogaon (8)
- Narayanganj (2)
- Natore (10)
- Netrokona (1)
- Nilphamari (2)
- Noakhali (1)
- Pabna (3)
- Panchagarh (2)
- Patuakhali (7)
- Pirojpur (1)
- Rajbari (1)
- Rajshahi (8)
- Rangamati (3)
- Rangpur (5)
- Satkhira (4)
- Sherpur (2)
- Sirajganj (5)
- Sunamganj (4)
- Sylhet (11)
- Tangail (1)
Blog Archive
-
▼
2010
(616)
-
▼
August
(96)
- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন
- বিএনপি
- শ্রীকৃষ্ণ
- প্রেমিকার জন্য ল্যাপটপ এবং একটি অপহরণ নাটক
- বীভৎস যৌন নির্যাতন, কিন্তু এড়িয়ে গেছেন সবাই
- গিমে মিউজিয়াম, ফ্রান্স
- মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক মার্কেট
- জাতীয় জাদুঘর
- দাসত্ব প্রথা
- পিরামিড
- ল্যুভর মিউজিয়াম, ফ্রান্স
- হার্ডরক ব্যান্ড ডিপ পার্পল
- পরমাণু ঘড়ি
- নওশেরার উদ্বাস্তু শিবির
- মৌলভীবাজার
- বাদামি প্রেতাত্মা রহস্য
- ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম
- মুখোশচিত্র
- ঢাকার রেকর্ড সংখ্যক শিলালিপি প্রকাশ, বঙ্গ নিয়ে গবে...
- বার্ড ফ্লু
- আচেহ দ্বীপ
- পৃথিবীর প্রথম সংবাদপত্র
- আলজেরিয়া
- প্রাচ্যের ভেনিস বরিশাল
- বাংলাদেশের নৌকা
- বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউজ
- হানবুক
- বাত সারাতে ব্যাকটেরিয়া
- ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কলেজ
- সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ
- ডিমেও বিষ!
- বাংলাদেশের গ্যাস দিয়ে ভারতে তৈরি হচ্ছে ৭২৬ মেগাওয়া...
- বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়া
- জগদল বিহার, নওগাঁ
- কৃষ্ণ বিবর বা ব্ল্যাক হোলস
- মানুষের মাঝের আঙুল লম্বা কেন
- ছাগল সুন্দরী প্রতিযোগিতা
- নতুন টাইটানিক
- সূর্যের জানা-অজানা কথা
- তারা মসজিদ
- ইসরায়েলি ‘স্যুভেনির ছবি’
- ফিলিস্তিনি স্বামী হত্যার বিচারের অপেক্ষায় মার্কিন ...
- ক্যামেরুনে মেয়েদের ‘বড়’ হতে বাধা
- বিশ্বপ্রকৃতির জীবন্ত জাদুঘর গ্যালাপাগোস
- Is this the way you send love messages?
- গিরিশচন্দ্র সেন ও কুরআনের বাংলা অনুবাদ
- মহাপ্রাচীর কাহিনী
- মক্কামান সময়
- আবর্জনা থেকে শক্তি
- রাজধানীর বর্জ্য পুনঃব্যবহারে বছরে বাঁচে ৩৫০০ কোটি ...
- যুদ্ধের সময় সেনাদের দ্বারা ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ
- ব্রজলাল কলেজ, খুলনা
- শেয়ার বাজারে আসতে হলে
- হবিগঞ্জ
- রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ একটি ঐতিহাসিক বা...
- বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন
- জীবনযুদ্ধ এবং কিছু স্বপ্ন
- বিশ্বের দুর্ভাগা ৪১ রাষ্ট্রনায়ক
- তেজপুর
- শ্রীমঙ্গল
- বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানোর সর্বদলীয় তালিকা
- ঢাকা নগরের আয়তন বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই
- মজলিশ আউলিয়া মসজিদ, মাদারীপুর
- সেফটি পিন
- উট
- ফেনসিডিল
- শরীরের লোম
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর
- আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
- ডাকসু সংগ্রহশালা
- রূপলাল হাউজ
- কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেট
- বড় বাপের পোলায় খায়
- চার বছরের শিশুর মুখে ফেনসিডিল!
- শরণখোলা, বাগেরহাট
- সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা
- বাংলাদেশের পতাকা
- জামালপুর
- কাপ্তান বাজার ডিসিসি মার্কেট
- পানাম নগর
- ঢাকা ক্লাব ঐতিহ্যে শতবর্ষের ধারক
- বলধা গার্ডেন
- মনসা মঙ্গলে বাংলার ভাবের হদিস
- স্টাম্প প্যাড
- আয়শা
- স্পেতসেস
- ভারতীয় মুসলমানদের বঞ্চনা
- আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল, বগুড়া
- ক্লিওপেট্রা
- ব্যাংক অব আমেরিকা টাওয়ার
- সৌন্দর্য চর্চায় লেবু
- কক্সবাজার
- আচার ভালো রাখার উপায়
- রোজ গার্ডেন
- খিলগাঁও সুপার মার্কেট
- দালাল
-
▼
August
(96)
Sunday, August 15, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
আমাদের এইখানে ফান্টুও বলে।।
আমাদের তেল এবং মধু বলে।
আমাদের এখানে তেল,মধু,খাওন,ঔষুধ এবং মধু বলে।
Amader eikhane maal bole
আমাদের সাতক্ষীরায় বলে জুস
আমাদের এখানে লাশ বলে
আমাদের এইখানে মিডা/মিষ্টি বলে