Sunday, August 15, 2010

কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেট

0 comments
কারওয়ান বাজার ২ নম্বর সুপার মার্কেটটি ডিআইটি কর্তৃক ১৯৫৯ সালে একটি দ্বিতল মার্কেট হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৬৫ সালে সেলামীর মাধ্যমে এখানে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই মার্কেটটি বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ডিআইটি থেকে ডিসিসিতে হস্তান্তর করা হয় এই মার্কেটটি। সে সময়ে ডিসিসির তৎকালীন প্রশাসক মেজর জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হাসান উক্ত মার্কেটটি সংস্কার করেন। তারপর থেকে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে মার্কেটের যাত্রা শুরু হয়।

মার্কেটে মোট ৩৪৩টি দোকানের মধ্যে নিচতলায় শাড়ি, লুঙ্গি, রেডিমেড গার্মেন্টস, জুতা স্বণালঙ্কার, প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ, থান কাপড়, বেডিং, ব্যাগ, স্যুটকেস, কনফেকশনারী, সাটিং স্যুটিং এবং দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স, টেইলারিংসহ ফোন ফ্যাক্সের দোকান রয়েছে। এখানে নি¤œ এবং নি¤œ মধ্যবিত্ত ক্রেতারাই বেশি আসেন।

মূলত ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়ে আস্তে আস্তে মার্কেটটি জমে উঠে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় তলার দোকান আংশিক জমে উঠে। ২০০৪ সালের পর থেকে দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা পুরোদমে শুরু হয়। বর্তমানে এই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ সামছুল আলম বুলবুল বলেন, বিগত দিন থেকে বর্তমান পর্যন্ত মার্কেটটিতে যতটুকু উন্নতি হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়ী এবং সমিতির উদ্যোগেই হয়েছে। ১৯৮৪ সালের পর থেকে ডিসিসিকে দোকান প্রতি স্কয়ারফিটে দেড় টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে নিচতলায় ৮ টাকা স্কয়ার ফিট এবং দ্বিতীয় তলায় ৬ টাকা স্কয়ার ফিট ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। অথচ মার্কেটের নানাবিধ সমস্যা ডিসিসি সমাধান করে দিচ্ছে না। সবচেয়ে অবাক হবার বিষয় যে, ১৯৬৬ সালে মার্কেটের যে কলাপসিবল গেইট তৈরি হয়েছিল ডিআইটির আমলে, সেটি এখনও একই অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ ডিসিসিকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব মার্কেট থেকে দেয়া হচ্ছে। সমিতির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বহুবার ডিসিসি’র কাকে আবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি। অন্যদিকে মার্কেট উন্নয়নে বরাদ্দ এলেও কে কিভাবে এটাকে ব্যবহার করছে তা ব্যবসায়ীদের জানা নেই। ব্যবসায়ীরা আজও জানে না বরাদ্দ কিভাবে কার হাতে আসে, ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের টয়লেটের অবস্থা খারাপ। মার্কেটের ছাদ থেকে পানি পড়ে। মার্কেটের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে বর্ষায় নিচ তলায় পানি জমে যায়। এমনকি সুইপার ঝাড়-দাররাও কোনো কাজ করে না বলে অভিযোগ করেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত আরো ২৪ বছর ধরে এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান ছিল। ডিসিসির আইনেও আছে যে, যেকোনো গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা কোনো পরিবর্তন পরিবর্ধন করা যাবে না। অথচ এই আইনকে তোয়াক্কা না করে এমন পাকা টোল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সবশেষে তারা অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
০০ হামিদুল করিম ০০

0 comments:

Post a Comment