Friday, August 6, 2010

স্টাম্প প্যাড

0 comments
শনাক্তকরণ বা সিল মারার কাজে বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে স্টাম্প প্যাড। শনাক্তকরণের কাজে আঙুলের ছাপ প্রয়োজন হয়। আর তা আঙুল STAMP PAD)-এ ঠেসে ধরে দলিল বা কোনও কাগজে ছাপা দেয়া হয়। যদিও এই পদ্ধতির ব্যবহার ইদানীং কমে আসছে, তবু এর ব্যবহার নিঃশেষ হয়ে যায়নি।। প্রতিটি মানুষ যেমন ভিন্ন, তেমনি আঙুলের ছাপও ভিন্ন। আঙুলের ছাপ সংক্রান্ত তথ্য আবিষ্কার ইতালিয়ান শরীরবিদ মারসেলো মালপিমির (১৮৮৬) অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি মাইক্রোসকোপের নিচে আঙুল রেখে দেখেন যে, আঙুলের অগ্রভাগ ঝলরের ভাঁজের মতো ও কুণ্ডলীর মতো প্যাঁচানো। আঙুলের ছাপের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ইউরোপে, সরকারিভাবে। প্রথমে কয়েদীদের ছাপ নেওয়া হতো শনাক্ত করার কাজে। কয়েক বছর পরের কথা, আঙুলের ছাপ কিভাবে নেয়া হবে এই নিয়ে শুরু হলো প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শেষে স্থির হলো, আঙুলের অগ্রভাগকে হালকাভাবে কালিতে ডুবিয়ে নিয়ে ছাপ দেওয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতির ব্যবহার এখনও রয়েছে। ১৮৮০ সালে ইংরেজি বিজ্ঞানী সার ফ্রান্সিস গ্যালটন আঙুলের ছাপকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করতে নেমে পড়েন। এর কয়েক বছর পরেই এই পদ্ধতিকেই সহজবোধ করে তোলেন সার এডওয়ার্ড হেনরি। হেনরি ছিলেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। তারপর থেকে প্রায় সব ধরনের শনাক্তকরণের কাজে আঙুলের ছাপ ব্যবহৃত হতে লাগল। বিশেষ করে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

_আমিন রহমান নবাব

0 comments:

Post a Comment