Tuesday, August 17, 2010

বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন

0 comments
ব্যাপক ক্ষতির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে সময় নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে, সে সময় তা আমাদের নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ প্রশ্নের সম্মুখীন। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্তে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছে। পাবনার রূপপুরে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আগামী সেপ্টেম্বরে মস্কোর সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়া সফরের সময় ওই চুক্তিতে সই করবেন।
রূপপুর নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, এ কেন্দ্র থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হলে ২০২০ সাল নাগাদ ওই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ পাবে অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গত ২১ মে রাশিয়ার সঙ্গে এ সংক্রান্ত পাঁচ বছরের একটি কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সম্প্রতি প্রকৌশলী মাহবুব রুবাইয়াতের করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে জার্মান সরকার তাদের ১৬টি বাণিজ্যিক নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশে বসবাসকারী শিশুদের ওপর একটি গবেষণা চালায়। গবেষণাটি কিক স্টাডি হিসেবে পরিচিত। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যতই যাওয়া যায় শিশুদের দেহে ক্যান্সার বিশেষত লিউকেমিয়ায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কিক স্টাডি থেকে জানা যায়, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তার বাইরে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় অন্ততপক্ষে দ্বিগুণ।
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কিয়েভ শহরের চেরোনবিলে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি রিএক্টরের একটি বিস্ফোরিত হয়ে তেজস্ক্রিয় মৌল সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপ, স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের বেশকিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যার প্রভাবে এখনও চেরোনবিল শহর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার থ্রি মাইল আইল্যান্ডে ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত নতুন কোন নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৮০ সালে থ্রি মাইল আইল্যান্ড দুর্ঘটনার পরপরই সুইডেন রেফারেন্ডামে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ডিপার্টমেন্টের এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের সবচেয়ে পুরনো নিউক্লিয়ার কেন্দ্রগুলোর আশপাশে স্তন ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার ১৯৫০-৫৪ সালের চেয়ে ১৯৮৫-৮৯ সময়কালে বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, যেখানে পুরো আমেরিকাজুড়ে গড়ে তা বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ।
জার্মানি শুধু নতুন নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধই করেনি, সেইসঙ্গে একে একে বন্ধ করে দিচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রগুলো। বেলজিয়াম, তাইওয়ান, জাপানও ক্রমে সরে আসছে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে। এমন কি নিজস্ব বিদ্যুতের শতকরা ৭৭ ভাগ নিউক্লিয়ার শক্তি থেকে পাওয়া ফ্রান্সও সে দেশের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো একে একে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জনগণের চাপের মধ্যে রয়েছে।
ব্রাজিলের রাজধানী রিওডি জেনিরো থেকে ৮০ মাইল পশ্চিমে ব্রাজিল তিন তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। প্রথমটির কাজ শুরু হয় ১৯৭০ সালের দিকে এবং এটির নাম ছিল এংরা। ৬২৬ মেগাওয়াটের এ নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় এর পরিকল্পনায় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৭৫ সালেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা। অথচ নির্ধারিত সময়ের ৮ বছর পর ১৯৮৩ সালে যখন এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে, তখন দেখা গেল এ নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। কিছুদিন পরপর যন্ত্রপাতি বিকল তো হয়ই তার ওপর ২০০০ সালের মে মাসে হাজার হাজার গ্যালন তেজস্ক্রিয় নোনাপানি প্লান্ট থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ব্রাজিল শুরু হয় এংরা-২ নামে আরেকটি প্রজেক্ট। যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছিল ১২২৯ মেগাওয়াট। এর কাজ শুরু হয় ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে। এংরা-২ প্লান্টের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৮৩ সালে। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এর কাজ শেষ হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের ১৮ বছর পরে অর্থাৎ ২০০১ সালে এবং ততদিনে এর নির্মাণ ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
ফিনল্যান্ডের অলকিলিওতোতে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে এখনও চলছে। এটি নির্মাণ করেছে ফ্রান্সের বৃহৎ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কোম্পানি আরেভা। ফিনিশ সরকারের কাছে আরেভা পূর্ব নির্ধারিত ব্যয় দেখিয়েছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ইতোমধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে আরেভা অতিরিক্ত ব্যয় অনুমোদন না করলে কাজ বন্ধ করার হুমকিও দিয়েছে।
১৯৭৪ সালের মে মাসে ওয়েস্টিং হাউজ নামক কোম্পানি ফিলিপাইন সরকারকে ৬২৬ মেগাওয়াটের দুটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে দেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে ওয়েস্টিং হাউজ সেই একই প্রকল্পে খরচ দেখায় ৬৯৫ মিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬-এ যখন চুক্তি সই হয়, তখন একটি প্লান্টের জন্যই ৭২২ মিলিয়ন ডলার দাবি করে। ৭২২ মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে আরও ৩৮৭ মিলিয়ন ডলারের সুদও যোগ হয়। ১৯৯২-এর শেষে সবকিছু মিলিয়ে এই নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ প্রকল্পে খরচ দাঁড়ায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উপজাত হিসেবে যে বর্জ্য তৈরি হয় সেগুলো তেজস্ক্রিয়। এর তেজস্ক্রিয়তা কমে সহনীয় পর্যায়ে আসতে কমপক্ষে ১০ হাজার বছর লাগবে। তার মানে নিউক্লিয়ার বর্জ্যকে সরিয়ে এমন কোথাও রাখতে হবে, যা ঝুঁকিবিহীন থাকবে টানা ১০ হাজার বছর। অতএব এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঝুঁকিটা কেবল বর্তমান প্রজন্মের জন্যই থাকছে না, ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মগুলোর জন্যও। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমন্ধে একটি কার্যকর স্থায়ী সমাধানের পূর্ব পর্যন্ত তা নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন উইলিয়াম এবং ফিলিপ স্মিথ নামক দু'জন গবেষক ২০০৪ সালে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কার্বনডাই অক্সাইড থেকে কয়েক হাজার গুণ ক্ষতিকর সিএফসি অর্থাৎ ক্লোরোফ্লোরো কার্বন নিঃসরিত হয়, যাকে মনট্রিল প্রটোকলে পরিবেশ দূষণের দায়ে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এছাড়া নিউক্লিয়ার রিএক্টর প্রতিবছর বায়ুম-লে ও পানিতে প্রায় মিলিয়ন কুরি (তেজস্ক্রিয়তার একক) তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ছড়ায়। এগুলোর নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। কেননা, উদ্যোক্তারা মনে করেন এরা পরিবেশ ও প্রাণিসম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়; এ সকল আইসোটোপের তালিকায় আছে ক্রিপ্টন, জেনন, আর্গনের মতো নিস্ক্রিয় গ্যাসগুলো। যেগুলো চর্বিতে দ্রবণীয় এবং রিএক্টরের আশপাশে বসবাসকারী কোন লোক তার নিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে, তা তার ফুসফুসের মাধ্যমে প্রজনন অঙ্গসহ তার দেহের চর্বিযুক্ত টিস্যুতে স্থানান্তরিত হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে নিঃসরিত গামা রশ্মি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুতে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটিয়ে সূচনা করতে পারে বংশানুসৃত (জেনেটিক) রোগের। ট্রিটিয়াম নামক হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপও নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পেয়ে থাকি, যা অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া মারফত তেজস্ক্রিয় পানি উৎপন্ন করে। এ পানি ত্বক, ফুসফুস এবং পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে লোকজনের দেহে প্রবেশ করে ডিএনএ মলিকিউলে ঢুকে যেতে পারে, যার পরিণাম বড় ধরনের বিপর্যয়।
বিশ্বে বর্তমানে হাইগ্রেড ইউরেনিয়ামের মজুত আছে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন টন। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় ৬৭ হাজার টন। অতএব এ হারে ব্যবহৃত হতে থাকলে বর্তমান মজুত দিয়ে চলবে আরও বছর পঞ্চাশ। আর যদি দুনিয়ার বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় সবটাই যোগাতে হত নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকে তবে তা দিয়ে চলত আর মাত্র নয় বছর। হাইগ্রেড-লোগ্রেড মিলিয়ে এই মুহূর্তে ইউরেনিয়ামের মোট মজুত প্রায় ১৪.৪ মিলিয়ন টন, যার বেশিরভাগ থেকেই ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা ক্রমশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে। অনেকগুলো খনি আবার ইতোমধ্যে পরিত্যক্তও হয়ে গেছে।
পরিকল্পনার সময় ৪-৫ বছরের কথা বলা হলেও বাস্তবে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসাতে কম করে হলেও ১০ বছর লাগবে। সুতরাং নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমান সংকটের সমাধান হতে পারে না বরং বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ৫০০ মেগাওয়াটের ৪টি বড় কয়লা এবং গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করার উদ্যোগ নিলে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চেয়ে কম খরচে, কম সময়ে (জরুরি উদ্যোগ নিলে ২/৩ বছরেই বড় আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব) বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব। শুধু ৫০০ মেগাওয়াটের ৪টি প্ল্যান্ট স্থাপন করেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্বল্প সময়ের মধ্যে ছোট আকারের কয়েকটি প্ল্যান্ট স্থাপন করে এক বছরের মাথায় বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সুপারিশ করা হয়েছে।
এ অঞ্চলে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা করা হয় পাকিস্তান আমলে, ১৯৬১ সালের দিকে। ওই সরকার বেশকিছু পর্যালোচনার ভিত্তিতে পাবনার রূপপুরে ৭০ মেগাওয়াটের একটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয় ১৯৬৩ সালে। তারপর ১৯৬৬ সালের দিকে একটি ১৪০ মেগাওয়াটের এবং ১৯৬৯ এ ২০০ মেগাওয়াটের একটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়। ১৯৮০ সালে তারা ১৪০ মেগাওয়াটের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এরপর আরেকটি ফলোআপ স্টাডি হয় ১৯৮৬-৮৭ সালে। ওই স্টাডিও আমাদের জানিয়েছিল বাংলাদেশ নাকি সবদিক থেকেই এ ধরনের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় সক্ষম। পর্যালোচকরা সে সময় বাংলাদেশ সরকারকে ৩০০ মেগাওয়াটের দুটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুপারিশ করে। এ রকম ফিজিবিলিটি স্টাডি চলতে থাকে আরও বেশ কিছুকাল। ১৯৯৯-২০০৩ হয়ে এবার আবার সেটা শুরু হলো ২০০৯ এ। এবারও ঢাকা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরত্বে পাবনার সেই রূপপুরকেই ঠিক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করা; নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য জাতীয় সংস্থাগুলোকে কর্তৃত্ব ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দান। পেট্রোবাংলার কর্তৃত্বাধীন ১২টি বন্ধ কূপ চালু করার জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করা; বিদেশি কোম্পানির হাতে আটকে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে অনুসন্ধান ও উত্তোলন কাজ জোরদার করতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা; গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন মেরামত ও নবায়ন করা; সুড়ঙ্গ অথবা পরিবেশ অনুকূল অন্য পদ্ধতিতে কয়লা তোলার জন্য বিভিন্ন আবিষ্কৃত কয়লাখনি অঞ্চলে অবিলম্বে কয়লা উত্তোলন ও একই স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
==মুজাহিরুল হক রুমেন==

0 comments:

Post a Comment