Wednesday, August 15, 2012

কাগজ

0 comments
কাগজ ছাড়া বর্তমান সভ্যতায় একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের একটি অপরিহার্য প্রয়োজনীয় বস্তু হলো কাগজ। হাজার বছর ধরে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয়কে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এই কাগজ। কাগজের আবিষ্কার নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। তবে বেশির ভাগের মতে চীনে প্রথম কাগজ তৈরি করা হয়। Paper শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ কাগজ। প্রাচীন মিসরে 'প্যাপিরাস' নামক এক প্রকার লেখার বস্তু ছিল। এ প্যাপিরাস থেকেই Paper শব্দটি এসেছে। প্যাপিরাস ছিল মোটা কাগজসদৃশ বস্তু। প্যাপিরাস নামের এক ধরনের গাছের বাকল থেকে তৈরি হতো এ প্যাপিরাস কাগজ। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে কাগজের প্রচলন হওয়ার আগেই প্রাচীন মিসর ও ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় এ প্যাপিরাস লেখার কাজে ব্যবহার হতো। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন উপকরণ থেকে কাগজ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে বাঁশ, কাঠ, আখের ছোবড়া ইত্যাদি থেকে প্রধানত কাগজ তৈরি করা হয়ে থাকে। কাগজ তৈরির জন্য প্রথমে এর উপকরণ ছোট করে কেটে রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে উচ্চ তাপে নরম 'মণ্ডে' পরিণত করা হয়। আবার যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ চাপ প্রয়োগ করেও মণ্ড প্রস্তুত হয়ে থাকে। এ মণ্ড থেকেই জলীয়বাষ্প শোষণ করে নিয়ে যন্ত্রে চাপ দিয়ে কাগজ তৈরি করা হয়। রঙিন কাগজ তৈরির জন্য মণ্ডের সঙ্গে রং মেশানো হয়ে থাকে। ১৮৪৪ সালে কানাডিয়ান উদ্ভাবক Charles Fenerty এবং জার্মান উদ্ভাবক F G Keller যৌথভাবে কাগজ তৈরির মূল উপাদান হিসেবে কাঠের মণ্ড তৈরি করার মেশিন ও প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন। এ মেশিনের আবিষ্কার কাগজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার এক নতুন যুগের সূচনা করে।

0 comments:

Post a Comment