Saturday, August 25, 2012

চুইংগাম

0 comments
চুইংগাম চিবাতে কে না ভালোবাসে? ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষকেই চিবাতে দেখা যায় এই চুইংগাম। বর্তমানে নানা রঙের প্যাকেটে চুইংগাম বাজারে পাওয়া যায়। তবে শুরুতে কিন্তু এমনটা ছিল না। প্রাচীনকালের মানুষের খাদ্য তালিকায় যে চুইংগাম ছিল তা মূলত গাছের রস বা ছাল। প্রাচীন গ্রিক জাতি ম্যাসটিক গাছের আঠালো উপাদান ম্যাসটিচ চিবিয়ে খেত। গ্রিক ভাষায় ম্যাসটিচ শব্দের অর্থ হলো 'চিবানো'। কেউ কেউ এটিকেই মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চুইংগাম বলে আখ্যায়িত করেন। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় পাঁচ হাজার বছর আগে চুইংগামের অস্তিত্ব থাকার সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলেছে। ফিনল্যান্ডে গবেষণা চালাতে গিয়ে এই আবিষ্কারটি করেন ব্রিটিশ শিক্ষার্থী সারাহ পিকিন। গুহাতে প্রাপ্ত উপকরণকে ল্যাবরেটরিতে আতশ কাচের নিচে ফেলে তিনি বুঝতে পারলেন এটি প্রস্তর যুগের চুইংগাম, সঙ্গে পাওয়া গেল গুহামানবের দাঁত বসানোর প্রমাণ। আরো জানা গেল, চুইংগামটি যে গাছের অংশ সেটির রয়েছে ছোটখাটো ক্ষত সারানোর ক্ষমতা। পৃথিবীর প্রায় সব সভ্যতায়ই চুইংগামের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে চুইংগামের ধরন ও ব্যবহারের কারণে ভিন্নতা রয়েছে। গ্রিসের লোকেরা গাছের আঠালো রস জমিয়ে গাম বানাত। এই গামই তারা চুইংগামের মতো চিবাত। তারা বিশ্বাস করত, এটি দাঁত পরিষ্কার ও মুখের ময়লা দূর করে। মায়ানরা ব্যবহার করত একটি বিশেষ গাছের ছাল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা গাছের বাকলের সঙ্গে মৌচাকের মোম মিশিয়ে নরম করে তৈরি করত তাদের চুইংগাম। বর্তমান সময়ের চুইংগামের জনক বলা হয় আমেরিকার টমাস এডামসকে। ১৮৫০-এর দশকে তিনি চুইংগাম তৈরির মেশিন আবিষ্কার করেন এবং মেশিনটি নিজের নামে পেটেন্ট করে নেন।

0 comments:

Post a Comment