বিশাল জলরাশি থাকা সত্ত্বেও সাগরটির নাম ডেড সি বা মৃত সাগর। এই নামকরণের কারণ হলো এই সাগরে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজাতীয় অণুজীব ছাড়া মাছ বা অন্য কোনো জলজ প্রাণী এমনকি উদ্ভিদও বাঁচে না। আরেকটি অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এ সাগরে কোনো মানুষ সাঁতার না জানলেও ডুবে মারা যায় না। এর কারণ হলো, মৃত সাগরের পানির ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। আর এ সাগরে পানির ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণ হলো, পানিতে লবণের উপস্থিতি বেশি। অন্যান্য সাগরের পানিতে যেখানে লবণের পরিমাণ ৬ শতাংশ দেখা যায়, সেখানে মৃত সাগরের পানিতে লবণের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। এই কারণে একে সল্ট সি বা লবন সাগরও বলা হয়। মৃত সাগরটি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অনেকের ধারণা, মৃত সাগরের কাদা গায়ে মাখলে বিভিন্ন রোগের উপশম হয়। আবার কেউ কেউ চর্মরোগ থেকে মুক্তির জন্য এখানে সূর্যস্নান করে থাকে। মৃত সাগরের ধর্মীয় গুরুত্বও অনেক। ইসলাম ধর্ম মতে, এ এলাকাটি হজরত লূত (আ.)-এর অনুসারীদের আবাসস্থল। এখানেই ফেরেশতারা ভূমি উল্টে লূত (আ.)-এর অনুসারীদের মাটি চাপা দেন। ইসলামে এ স্থানটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নিচু এলাকা বলে আখ্যা দেওয়া হয়। বাইবেলেও মৃত সাগর নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে এ স্থানের পানি একসময় মিষ্টি হয়ে উঠবে এবং তা মাছের বসবাসের উপযোগী হবে। মৃত সাগরের অর্থনৈতিক গুরুত্বও অনেক। এখানে প্রাপ্ত উপাদান থেকে বিপুল পরিমাণে পটাশ, কস্টিক সোডা, ব্রোমিন, সোডিয়াম ক্লোরাইড ও ম্যাগনেসিয়াম উৎপন্ন করা হয়।
এর পশ্চিমে পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল , পূর্বে জর্ডান । জিবুতির আসাল হ্রদের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লবণাক্ত পানির প্রাকৃতিক আধার।
0 comments:
Post a Comment