Tuesday, August 7, 2012

কঠিন চীবর দান

0 comments
এক সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সুতাকাটা, কাপড় বোনা, কাপড় সেলাই, ধোয়া ও শুকানো এই যাবতীয় কাজগুলো শেষ করে ভিক্ষুদের দান করতে হয়। আরো কিছু নিয়ম-কানুন আছে, যা দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের জন্যই পালন করা বেশ কঠিন। তাই এই অনুষ্ঠানটির নাম কঠিন চীবর দান। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠান। চীবর শব্দটির অর্থ হলো ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র। বৌদ্ধদের ধর্ম বিশ্বাস মতে, চীবর দান হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দান। শতবর্ষের দান কিংবা পৃথিবীর সব দান একত্র করলে যে ফল, তা একখানি চীবর দানের ১৬ ভাগের ১ ভাগও নয়। প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে বছরে মাত্র একবার চীবর দান অনুষ্ঠান করা হয়। এ দিন ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং ব্যাপক ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে বৌদ্ধ গৃহীরা ভিক্ষুদের চীবর দান করেন। গাছের গুঁড়ি, শিকড়, ছাল, শুকনো পাতা, ফুল ও ফল এই ছয়টি বিশেষ রঙে চীবরের রং নির্ধারিত। এই পোশাক বোনায় ব্যবহার করা হয় বেইন বা কাপড় বোনার বাঁশে তৈরি ফ্রেম। এ রকম বেইনে একসঙ্গে চারজন কাপড় বুনে থাকে। পূর্বে ভিক্ষুরা ময়লা কাপড় পরিধান করত। এতে তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটার আশঙ্কা থাকত। ভিক্ষুদের নীরোগ, সুস্থ দেহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই চীবর পরিধানের নিয়ম প্রবর্তন করা হয়। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পোশাক ভিক্ষুদের দেওয়া হয়।



গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার

0 comments:

Post a Comment