Tuesday, August 7, 2012

গঞ্জ

0 comments
বাংলাদেশে অসংখ্য নদী-নালা রয়েছে। এই নদীগুলো দিয়ে পণ্য একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া খুবই সহজ ও সুবিধাজনক। তাই এই নদীগুলোর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পাইকাররা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনা করে থাকেন। পণ্য বেচাকেনার সুবিধাজনক এবং সংরক্ষিত স্থানগুলোই গঞ্জ হিসেবে পরিচিত। মোগল আমলের কাগজপত্রে দেখা যায় খাস বা সরকারি-বেসরকারি এই দুই ধরনের গঞ্জ রয়েছে। এই গঞ্জগুলো ছিল শাসকদের রাজস্ব আদায়ের একটি বড় উৎস। বেসরকারি গঞ্জগুলো প্রতিষ্ঠা করতেন জমিদার বা তালুকদাররা। জমিদাররা গঞ্জ থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটি অংশ সরকারকে রাজস্ব হিসেবে প্রদান করতেন। অনেক গঞ্জকে আবার শাসকরা পদস্থ রাজকর্মচারীদের দান করতেন যেগুলো থেকে শাসকরা কোনো কর নিতেন না। গঞ্জগুলোয় সে সময়ে প্রচলিত প্রায় সব ধরনের পণ্যেরই বেচাকেনা হতো। আবার কোনো কোনো গঞ্জে শুধু পাট বা সুতা বা মসলা এ রকম বিশেষ ধরনের পণ্যের বেচাকেনা হতো। বাংলাদেশে এই গঞ্জগুলো ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছিল, বর্তমানে আমরা বিভিন্ন জায়গার নামকরণে এই গঞ্জের প্রভাব দেখতে পাই। নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ এ রকম আরো জায়গা এই গঞ্জ প্রধান স্থানের উদাহরণ।


গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার

0 comments:

Post a Comment