Tuesday, August 14, 2012

থ্রিজি প্রযুক্তি

0 comments
থ্রিজি প্রযুক্তির সম্প্রসারিত রূপ হলো থার্ড জেনারেশন প্রযুক্তি। মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এই থ্রিজির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর একটি আবিষ্কার হলো এই থার্ড জেনারেশন প্রযুক্তি বা তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি। থ্রিজি হলো তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি। এটি উচ্চ গতিসম্পন্ন একটি ডেটা সার্ভিস। ১৯৭৯ সালে জাপানে ওয়ান-জি অর্থাৎ, প্রথম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তির জেনারেশন যাত্রা শুরু হয়। জাপানেই এনটিটি ডোকোমো নামক মোবাইল অপারেটর কম্পানি ২০০১ সালের ১ অক্টোবর থ্রিজি মোবাইল প্রযুক্তি বাণিজ্যিকভাবে প্রথম বাজারে নিয়ে আসে। এশিয়ায় প্রথম এই প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হলেও দীর্ঘ প্রায় এক যুগেও বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়নি। ২০১২ সালেই বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তি সেবা চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটক। থ্রিজি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় সুবিধা হলো_এ প্রযুক্তি কার্যকর থাকলে মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে ভয়েস সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারী যেকোনো অবস্থানে থেকেই উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যান্ডসেটে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়াও দেখা যায় অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটির ভিডিও, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে করা যায় ভিডিও কনফারেন্স, দেখা যায় ইন্টারনেট টিভি। ফাইল আপলোডের ক্ষেত্রে থ্রিজি নিয়ে এসেছে অবিশ্বাস্য গতি। এককথায় মোবাইল প্রযুক্তি এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে থ্রিজি প্রযুক্তি অসাধারণ একটি প্রযুক্তি।


গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার

0 comments:

Post a Comment