Tuesday, August 7, 2012

রাজাকার বাহিনী

0 comments
রাজাকার শব্দটির আভিধানিক অর্থ স্বেচ্ছাসেবক। কিন্তু বাংলাদেশে রাজাকার মানে বিভীষিকা। এ দেশের মানুষের কাছে রাজাকার বর্বর এক বাহিনীর নাম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত একটি আধাসামরিক বাহিনী হলো রাজাকার বাহিনী। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াইরত মুক্তিবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। খানজাহান আলী রোডে একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থী নাগরিক যাদের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, তাদের সমন্বয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগকালে তদানীন্তন হায়দ্রাবাদের শাসক নিজাম ভারতভুক্ত হতে অনিচ্ছুক থাকায় ভারতের সামরিক বাহিনীকে প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য রাজাকার নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেছিলেন। হায়দ্রাবাদের এই বাহিনীর অনুকরণে এই রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীকালে দেশের অন্যান্য অংশেও রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে রাজাকার বাহিনী ছিল এলাকার শান্তি কমিটির নেতৃত্বাধীন। ১৯৭১ সালের ১ জুন জেনারেল টিক্কা খান 'পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স-১৯৭১' জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। রাজাকার বাহিনীর প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছিল ১৫ দিন। ১৯৭১ সালের ১৪ জুলাই কুষ্টিয়ায় রাজাকারবাহিনীর প্রথম ব্যাচের ট্রেনিং সমাপ্ত হয়। সারা দেশে রাজাকারদের লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণে খুশি হয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ সেপ্টেম্বর জারিকৃত এক অধ্যাদেশ বলে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়।

0 comments:

Post a Comment