Tuesday, August 7, 2012

জুম চাষ

0 comments
পাহাড়ি অঞ্চলে সমতল ভূমি খুবই কম। তাই সেখানে চাষাবাদ করা ভীষণ কঠিন। কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে তবুও ফসল ফলাতে হয়। পাহড়ের ওপরে বিশেষ কায়দায় করা হয় চাষাবাদ। পাহাড়ে এই বিশেষ ধরনের চাষাবাদকেই জুম চাষ বলা হয়। জুম চাষের প্রকৃত অর্থ হলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ। এ ধরনের চাষাবাদে শুকনো মৌসুমে পাহাড়ের গাছপালা কেটে ও পুড়িয়ে দুই-তিন বছর চাষাবাদের পর আবার কমপক্ষে ১০ বছর পতিত রাখা হয়। এই পতিত রাখার সময়ে জমি আবার তার উর্বরতা ফিরে পায়; কিন্তু বর্তমানে জনসংখ্যার তুলনায় জমি কম হওয়ায় মাত্র তিন-চার বছর জমি পতিত রাখা হচ্ছে। জমি নির্বাচনের সময় বাঁশ, গাছ, আগাছাসহ ঢালু জমি নির্বাচন করা হয়। এরপর বাঁশ বা গাছ কেটে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। পরে এগুলোতে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে পুরে গাছগুলো ছাই হয়ে যায় এবং আধা ইঞ্চি মাটিও পুড়ে যায়। এই পোড়ামাটি ও ছাই জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এরপর বৃষ্টি হয়ে মাটি একটু নরম হলে ফসল বোনা হয়। জুম চাষে একসঙ্গে অনেক ফসল বোনা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফসল ঘরে তোলা হয়। পাহাড়িদের জীবন যাপনের জন্য জুম চাষ অপরিহার্য একটি বিষয়। সাধারণত জুম চাষে আদা, হলুদ, ধান, কলা, ভুট্টা, তিল, তুলা প্রভৃতি ফসলের চাষ হয়ে থাকে।

গ্রন্থনা : তৈমুর ফারুক তুষার

0 comments:

Post a Comment