Monday, August 27, 2012

রোডসের মূর্তি

0 comments
প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের একটি হলো রোডসের মূর্তি। ইজিয়ান সাগরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় দ্বীপ রোডস। প্রাচীন গ্রিসের অন্তর্ভুক্ত এই দ্বীপটি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। রোডস দ্বীপের মানুষরাই খ্রিস্টপূর্ব ২৮০ অব্দে নির্মাণ করেন বিশাল একটি মূর্তি। সূর্য দেবতা হিলিয়াসের এই বিশাল মূর্তিটি ছিল অত্যন্ত বিস্ময়কর। তখনকার মানুষেরা বিশালাকার এই মূর্তিটি দেখে ভীষণভাবে বিস্মিত হতো। এই মূর্তিটি নির্মাণের পেছনের কারণটা বেশ মজার। মহাবীর আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তাঁর সেনাপতিদের মধ্যে রোডস দ্বীপের দখল নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। রোডস দ্বীপের বাসিন্দারা ছিল সেনাপতি টলেমির সমর্থক; কিন্তু আরেকজন সেনাপতি এই দ্বীপ দখল করে নিলে রোডসের বাসিন্দাদের সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে যায়। পরে সেনাপতি টলেমির সৈন্য এবং রোডসের বাসিন্দারা যুদ্ধ করে দ্বীপটিকে শত্রুমুক্ত করে। শত্রুরা ফেলে যায় অনেক তামা ও লোহা। এই ফেলে যাওয়া তামা ও লোহা কী কাজে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অনেক ভাবনার পর সূর্য দেবতা হিলিয়াসের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনেক মানুষের শ্রমে নির্মাণ করা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি। রোডসের মানুষেরা এই মূর্তিটি নির্মাণে প্রায় ২৫০ টন তামার ব্যবহার করে। খ্রিস্টপূর্ব ২২৮ অব্দে এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে মূর্তিটির একটি পা ভেঙে যায়। এরপর ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সারাসিন জাতি রোডস দ্বীপ দখল করে নিয়ে এই আশ্চর্যজনক মূর্তিটি ধ্বংস করে দেয়।

0 comments:

Post a Comment