Tuesday, August 7, 2012

কড়ি

0 comments
বাংলা ভাষায় টাকা-কড়ি শব্দটি আমরা প্রায়ই ব্যবহার করি। এখনকার দিনে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে যেমন টাকার ব্যবহার করা হয়, তেমনি প্রাচীন ও মধ্যযুগে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো কড়ি। সংস্কৃত ভাষায় কড়ির নাম কপর্দক। তাই বাংলায় এখনো অর্থাভাবকে কপর্দকশূন্য অবস্থা বলা হয়। বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত এই কড়ি মূলত মালদ্বীপের একটি সামুদ্রিক শামুকের খোল। দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলে এই কড়ি বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো। প্রাচীন ও মধ্যযুগে বাংলায় রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন থাকলেও এই মুদ্রার ব্যবহার ছিল মূলত শহর ও বড় বড় বাণিজ্য কেন্দ্রগুলোয়। গ্রামাঞ্চলে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা হতো কড়ি। মোগল আমলে রায়তরা শস্য অথবা কড়ি দিয়ে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করতে পারত। উনিশ শতকের শেষ দিকেও বাংলাদেশের রংপুর ও সিলেট জেলায় কড়ি ব্যবহার করা হতো। ইউরোপের সঙ্গে এশিয়ার যোগাযোগ স্থাপনের পরবর্তী যুগে ইউরোপীয়রা প্রচুর কড়ি আমদানি করত। এই কড়িগুলো তারা ব্যবহার করত আফ্রিকা থেকে দাস কেনার কাজে। কারণ আফ্রিকার বাজারে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে কড়ি ব্যবহার করা হতো।

0 comments:

Post a Comment